লজ্জাবতীতেই সারবে সুগার, নিয়মিত খান - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, 4 October 2021

লজ্জাবতীতেই সারবে সুগার, নিয়মিত খান



প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : দুর্বল রুটিন, অনুপযুক্ত খাদ্যাভ্যাস এবং মানসিক চাপের কারণে ডায়াবেটিস মানুষের একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি এমন একটি রোগ, যা একবার ধরা পড়লে সারা জীবন আপনার সঙ্গে থাকে। এই রোগে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে শুরু করে।  একই সময়ে, অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন হরমোন নিঃসরণ বন্ধ হয়ে যায়। এর জন্য ডায়াবেটিক রোগীদের তাদের স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ যত্ন নিতে হবে।  



অন্য অসংখ্য রোগও অসাবধানতার কারণে আসে। ডাক্তাররা সবসময় ডায়াবেটিক রোগীদের মিষ্টি জিনিস এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন। এর সঙ্গে  দৈনন্দিন ব্যায়াম এবং যোগব্যায়াম করতেও বলা হয়। নিয়মিত ওষধ খেলে এবং মিষ্টি  এড়িয়ে চললে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগী হন এবং সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাহলে আপনি লজ্জাবতীর পাতা ব্যবহার করতে পারেন।  অনেক গবেষণায় জানা গেছে যে লজ্জাবতী ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারী। এর পাতা ও শিকড়ের গুঁড়া গ্রাস করে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। 


 লজ্জাবতী কি? 


লজ্জাবতীকে আয়ুর্বেদে ঔষধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর বড় বৈশিষ্ট্য হল এর পাতা স্পর্শ করলে তা সঙ্কুচিত হয় এবং যখন হাত সরানো হয় তখন এটি আগের অবস্থায় চলে আসে।  লজ্জাবতীর ফুল গোলাপী। এতে অনেক ঔষধি গুণ পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে। ডাক্তাররা সর্বদা লজ্জাবতীর পাতা ও শিকড়কে অনেক ধরনের রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করেন। এছাড়াও, লজ্জাবতীর শিকড় গ্রাস করে সুগার নিয়ন্ত্রণ করা যায়।


রিসার্চ গেটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বেশ কিছু গবেষণার কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে যে, লজ্জাবতীর পাতা ও শিকড় ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য একটি ওষুধ।  এই গবেষণাটি খরগোশের উপর করা হয়েছে এবং দেখা গেছে যে লজ্জাবতী শিকড়ের গুঁড়ো ব্যবহার সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে। এর জন্য ডায়াবেটিক রোগীরা লজ্জাবতী শিকড়ের গুঁড়ো খেতে পারেন।


কিভাবে খাবেন? 


আজকাল বাজারে লজ্জাবতী শিকড়ের গুঁড়া সহজেই পাওয়া যায়। এছাড়াও, আপনি নিজে লজ্জাবতী শিকড় শুকিয়ে এবং পিষে গুঁড়ো প্রস্তুত করতে পারেন। সকালে খালি পেটে লজ্জাবতী শিকড়ের গুঁড়ো দুধ বা সাধারণ জলে  মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে খাওয়ার আগে একবার ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নেবেন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad