আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই কাঢ়া পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, যা করোনা ভাইরাসকে দূরে রাখতে সহায়ক হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে অনেক ধরনের ভাইরাসজনিত রোগ এসেছে এবং ভবিষ্যতেও আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
একই সাথে অনেকের একই উপসর্গের রোগ হয়, তাই আয়ুর্বেদে একে জনপদধ্বংস রোগ বলা হয়। জল, বায়ু, ইত্যাদি দূষণের কারণে এ ধরনের রোগের সৃষ্টি হয়। বৈদ্য মহেশচন্দ্র শর্মার মতে, কিছু ওষুধ যেমন আমলা, হলুদ, তুলসীর সঙ্গে গিলয়, আদা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে।
এছাড়াও মর্নিং ওয়াক, ব্যায়াম, প্রাণায়াম করুন। উষ্ণ জল এবং মসলাযুক্ত, তেতো এবং কষায়যুক্ত উষ্ণ পদার্থ খাওয়া উচিত। দিনে ঘুমানো উচিৎ নয়। দই, মিষ্টি এবং আখের রস খাওয়া উচিৎ নয়।
সকালে গরম কাপড় দিয়ে শরীর ঢেকে রাখুন, ঠান্ডা খাবার গ্রহণ করবেন না। এর মাধ্যমে বসন্তকালে হওয়া কফ-প্রধান রোগ এড়ানো যায়। এর ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বিকাশ ঘটিয়ে রোগ থেকেও বাঁচা যায়।
ওষুধের উপাদান :গিলোয় -৪০গ্রাম, তাজা হলে ৮০ গ্রাম, সবুজ তূলসী পাতা -২০ গ্রাম , আদা-২০ গ্রাম, হলুদ-১৫গ্রাম, গোল মরিচ-৫ গ্রাম মিশিয়ে নিন।
ব্যবহার পদ্ধতি:একজন ব্যক্তির জন্য, উপরোক্ত মিশ্রণের ১৫ গ্রাম ৩০০ মিলি জলে রেখে অল্প আঁচে সিদ্ধ করুন, ১০০মিলি বাকি থাকলে, এটি ছেঁকে পান করুন। এটি কফ বাহিত রোগ থেকে রক্ষা করে।
No comments:
Post a Comment