শিশুর গায়ে হাত তোলার আগে জেনে নিন এটি 'ব্যাড প্যারেন্টিং' এর লক্ষণ নয় তো! - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, 4 October 2021

শিশুর গায়ে হাত তোলার আগে জেনে নিন এটি 'ব্যাড প্যারেন্টিং' এর লক্ষণ নয় তো!



প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : শিশুদের প্রতি পিতামাতার দুর্বল মনোভাব তাদের ব্যবহারিক এবং মানসিক অবস্থার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।  ইংরেজিতে একে বলা হয় ব্যাড প্যারেন্টিং।  কিছু পরিবার এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অবগত নয়, কিন্তু কিছু জানার পরও এটিকে পাত্তা দেয় না।  আসুন আজ আমরা আপনাকে খারাপ প্যারেন্টিং এর লক্ষণ এবং শিশুর উপর এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বলি।


 খারাপ প্যারেন্টিং এর লক্ষণ


 বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের অতিরিক্ত বকাঝকা করা খারাপ অভিভাবকত্বের লক্ষণ।  এর বাইরে শিশুদের সবার সামনে শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে বাধ্য করাও এর একটি লক্ষণ।  শিশুদের উপদেশ দেওয়া এবং তাদের উৎসাহিত না করাও ভুল।  আপনি যদি শিশুটিকে জড়িয়ে ধরে ভালোবাসার অনুভূতি না দেন, তাহলে সে আপনার থেকে আবেগগতভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।


 কিছু পিতা -মাতা সন্তানের জন্য বিধিগুলির একটি সম্পূর্ণ নির্দেশিকা প্রস্তুত করেন। সে তার পরিবারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা পান না।  শুধু তাই নয়, তারা তাদের সঙ্গে অন্যদের তুলনা করতে শুরু করে।  এগুলো সবই খারাপ অভিভাবকত্বের লক্ষণ।  সন্তানের কৃতিত্বে গর্বিত না হওয়া, সমালোচনার নতুন উপায় খুঁজে বের করা এবং তার অনুভূতিগুলিকে সম্মান না করা খারাপ পিতামাতার লক্ষণ।


 শিশুদের সামনে ভুল উদাহরণ স্থাপন করা বা তাকে খুব বেশি আদর করাও ঠিক নয়।  এই কারণে শিশুটি নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা করতে শুরু করবে এবং দীর্ঘমেয়াদে এটি তার সামাজিক নেটওয়ার্ককেও প্রভাবিত করবে।  শিশুদের প্রতি আস্থা না দেখানো বা তাদের জন্য বিশেষ সময় না নেওয়াও খারাপ প্যারেন্টিং স্টাইলের লক্ষণ হতে পারে।


 খারাপ পিতামাতার পরিণতি


 খারাপ অভিভাবকত্বের কারণে শিশুরা সমাজবিরোধী আচরণের শিকার হতে পারে।  এটি তাদের স্বাস্থ্য এবং মানসিক বিকাশের জন্য বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে।  শিশুদের মধ্যে মানসিক চাপের সমস্যা বাড়তে পারে।  তারা খুব রাগী হতে পারে।  তারা সহানুভূতির অভাব শুরু করবে।  শিশুদের সঙ্গে এই ধরনের আচরণ তাদের সম্পর্ক বজায় রাখার ভুল অভ্যাস দেবে।


 কিভাবে ভালো বাবা-মা হতে হয়


 একজন ভালো অভিভাবক হওয়ার জন্য, শিশুদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় সম্পর্কে শেখান।  তাদের নিয়ে একদমই চিৎকার করবেন না।  যখন তারা ভুল করে তখন তাদের শান্তভাবে বলুন।  শিশুদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন।  তাদের সামনে সঠিক উদাহরণ স্থাপন করুন।  তাদের মোটেও মারধর করবেন না।  একটি ভাল কাজের জন্য শিশুদের পুরস্কৃত করা যেতে পারে এবং ভুলের জন্য শাস্তি দেওয়া যেতে পারে। তবে মনে রাখবেন যে এই শাস্তি অ-শারীরিক হওয়া উচিৎ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad