প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী একটি মেয়ে তার পা পরিষ্কার করতে 'ফিশ স্পা'তে গিয়েছিল। কিছু দিন পরে, তিনি তার পায়ের আঙ্গুলে অল্প ক্ষত দেখতে পান।তারপরই তিনি অসুস্থ হতে শুরু করেছিলেন। যখন ডাক্তাররা তাকে পরীক্ষা করলেন, দেখা গেল যে তার পায়ে সংক্রমণ ছিল, যার কারণে তার হাড়গুলি খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। এর পরে, ডাক্তারদের ধীরে ধীরে তার ডান পায়ের পাঁচটি আঙ্গুল কেটে ফেলতে হয়েছিল।
অস্ট্রেলিয়ার পার্থে বসবাসকারী ভিক্টোরিয়া কার্থয়কে ১৭ বছর বয়সে তার ডান পায়ের বুড়ো আঙ্গুলটি অর্ধেকের মধ্যে কেটে ফেলতে হয়েছিল। ২০১০ সালে, তিনি থাইল্যান্ডে বেড়াতে গিয়েছিলেন। এখানে তিনি পা পরিষ্কার করতে 'ফিশ স্পা' নিয়েছিলেন। এই স্পাতে, ছোট মাছ পায়ের আঙ্গুলে উপস্থিত মৃত কোষ খায় এবং পাও বিশ্রাম পায়, কিন্তু ভিক্টোরিয়ার জন্য এটি জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল হিসেবে প্রমাণিত হয়।
তথ্য অনুসারে, ফিশ স্পার সময়, ভিক্টোরিয়ার বিচ্ছিন্ন আঙুল 'শেভানেল' নামক ব্যাকটেরিয়ায় সংক্রামিত হয়েছিল। এই ব্যাকটেরিয়া তার পায়ে সংক্রমণ সৃষ্টি করে। প্রথমে ভিক্টোরিয়া সামান্য ব্যথা অনুভব করলেও ধীরে ধীরে সে অসুস্থ হতে শুরু করে। এর পর তার পায়ের আঙুলও ঘুরতে থাকে।
ভিক্টোরিয়া ডাক্তারের কাছে গিয়ে তার সমস্যার কথা জানান। ভিক্টোরিয়ার পা দুই বছর ধরে চিকিৎসা করা হয়েছিল, কিন্তু ডাক্তাররা এখনও তার মার্জ ধরতে পারেনি। এর পরে, ২০১২ সালে, যখন এই সংক্রমণটি জানা যায়, কিন্তু ততক্ষণে আঙ্গুলগুলি ঘুরতে শুরু করে। এর পরে পায়ের সবচেয়ে বড় পায়ের আঙ্গুলটি পুরোপুরি কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু এক বছর পরে, তার পায়ের আরেকটি আঙুলে একটি আলসার তৈরি হয়েছিল। এর পর ডাক্তাররাও সেটিকে কেটে ফেলে। পরের দুই বছর সে তিনটি আঙ্গুল নিয়ে ভালো ছিল। তারপর ২০১৬সালে, তার স্বাস্থ্যের আবারও অবনতি হতে শুরু করে। সকালে যখন তিনি ঘুম থেকে উঠলেন, তখন তার বমি ও জ্বর হয়। ডাক্তাররা তাকে জানান আবার তিনি হাড়ের সংক্রমণে ভুগছেন। এরপর নভেম্বরে তারা তার অন্য দুটি আঙ্গুলও কেটে ফেলে। এখন তার পায়ের একটি মাত্র আঙুল বাকি ছিল। ২০১৭ সালের নভেম্বরে, হাড়ের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর তাকে শেষ আঙুলও কেটে ফেলতে হয়েছিল।
No comments:
Post a Comment