প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: অ্যালেক্স, যিনি ব্রিটেনের বাসিন্দা একটি খুব ভিন্ন এবং অনন্য রোগের সঙ্গে লড়াই করছেন। অ্যালেক্সের যে রোগটি হয়েছে তা ১০ লাখের মধ্যে একজনের হয়। এখন মানুষ হিসেবে জন্মগ্রহণ করলে তাকে জীবনের কোনও না কোনও সময় সূর্যের আলোর মুখোমুখি হতে হবেই কিন্তু অ্যালেক্সের শৈশব থেকেই সূর্যের আলোতে অ্যালার্জি রয়েছে। সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসার সঙ্গে সঙ্গেই তার পুরো ত্বক পুড়ে যায়। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, সূর্যের আলোতে নিজেকে পোড়ানো থেকে বাঁচানোর জন্য অ্যালেক্স এমন কিছু করার চেষ্টা করে যা আপনি কখনোও কল্পনাও করতে পারবেন না। অ্যালেক্স নিজেকে বাঁচাতে নিজের মুখের মুখোশ পরে বেরিয়ে আসে। চিকিৎসকদের মতে, অ্যালেক্স জেরোডার্মা পিগমেন্টোসাম নামক রোগে ভুগছেন। একটি শোতে 'সেকেন্ড স্কিন' মাস্ক সম্পর্কে বলা হয়েছিল, যা অ্যালেক্সকে নতুন জীবন দিয়েছে।
এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ত্বক একটি সাধারণ মানুষের তুলনায় UV রশ্মির চেয়ে ১০ হাজার গুণ বেশি সংবেদনশীল। শৈশব থেকেই ডাক্তাররা তাকে দিনের বেলায় বাইরে যেতে নিষেধ করেছিল। জন্মের কয়েক মাসের মধ্যেই অ্যালেক্সের রোগটি ধরা পড়ে। তার মুখ সূর্যের আলোতে পুড়ে যায় কারণ তার ত্বকের ডিএনএ ক্ষতি পূরণের ক্ষমতা খুবই কম। এ জন্য তাকে বিশেষ যত্ন নিতে হয়েছে। ২৫ বছর বয়স অবধি অ্যালেক্স খুব কষ্টে জীবন যাপন করছিল তখন হঠাৎ তার জীবনে আশার আলো দেখা দেয়। তার 'দ্বিতীয় চামড়া' মাস্কটি বিশেষ ক্যামেরা ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছিল। অ্যালেক্সের হাজার হাজার ছবি তোলা হয়েছিল এবং কম্পিউটারের সাহায্যে ৩ডি মডেলে মাস্ক তৈরি করা হয়েছিল এবং আজ অ্যালেক্স বাইরে ঘুরতে সক্ষম।
No comments:
Post a Comment