ইউক্রেনের চেরনোবিল দুর্ঘটনার কথা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আণবিক শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ভয়াবহ পরিণামের কথা। এবার ফের তেমনই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে চিনের একটি পারমাণবিক কেন্দ্রকে নিয়ে।বিষয়টি নিয়ে বেশ নড়েচড়ে বসেছে বাইডেন প্রশাসন।
সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে CNN দাবি করেছে, যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে চিনা পরমাণু কেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়তে পারে। চিনের গুয়াংডং প্রদেশের তাইশান পারমাণবিক কেন্দ্রে কী ঘটেছে এবং সেখান থেকে নির্গত তেজস্ক্রিয় বিকিরণের সম্ভাবনা ঠিক কতটা, সে সব নিয়ে ইতিমধ্যেই খোঁজ করা শুরু করে আমেরিকা। এব্যপারে ফরাসি পারমাণবিক সংস্থা সতর্ক করে আমেরিকাকে। উল্লেখ্য, চিনের তাইশান পরমাণু কেন্দ্রে ফরাসি সংস্থা ফ্রামাটোনেরও অংশীদারী রয়েছে।
সূত্রের খবর, বিষয়টি এখনও বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছয়নি বলেই মত মার্কিন বিশেষজ্ঞদের। সূত্রের খবর, পরমাণু কেন্দ্রটিকে নিয়ে ফরাসি সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছে ওয়াশিংটন। বিশেষজ্ঞদের মতে, লোকসানের ভয়ে পারমাণবিক চুল্লি যাতে বন্ধ করে দিতে না হয়, তার জন্য তেজস্ক্রিয় গ্যাস নির্গমনের ঊর্ধ্বসীমা টানা বাড়িয়েই চলেছিল চিন। ফলে যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। যদিও, এই সমস্ত অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছে চিন।
বিশ্লেষকদের মতে, ফরাসি সংস্থার সরাসরি আমেরিকার কাছে যাওয়া বেনজির। আর মুখে যতই পরিস্থিটি স্বাভাবিক থাকার দাবি করুক না কেন আমেরিকা, বিষয়টি জটিল কারণ, এই ইস্যুতে ইতিমধ্যে একাধিক বৈঠক করেছে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ।
No comments:
Post a Comment