গতকাল লাউহাটির বিএসএফ ক্যাম্পের আধিকারিকদের কাছে গোপন সূত্রে গোরু পাচার সংক্রান্ত খবর আসে । সেইমতো বিএসএফ আধিকারিকরা গোরু পাচারকারীদের ট্র্যাক করতে শুরু করেন । আটঘরায় ১৪টি গোরুবোঝাই ট্রাক এলে জি এস চৌহান ও নীতীশ শর্মার নেতৃত্বে সেগুলিকে আটকে দেন জওয়ানরা । এরপরই জওয়ানদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় গোরু ব্যবসায়ীদের । বিএসএফ -কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে স্থানীয়রা । তাদের দাবি, গাড়িগুলি ছেড়ে দেওয়ার পরিবর্তে টাকা চাইছিল বিএসএফ ।
যদিও জওয়ানদের দাবি, রাজারহাট থেকে শাসন হয়ে বসিরহাট সীমান্ত দিয়ে পাচারের জন্য গোরুগুলিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল । কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করে গোরু ব্যবসায়ীরা । তাদের দাবি, বিভিন্ন কসাইখানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওই গোরুগুলিকে । সেই সংক্রান্ত সমস্ত বৈধ কাগজপত্র রয়েছে । গোরু ব্যবসায়ী সুজাউদ্দিন ও আইয়ুব আলি মণ্ডল বলেন, "আমরা মেদিনীপুরের ঠাকুরদহ, চৌরঙ্গী ও হুগলির বিভিন্ন গ্রামীণ হাট থেকে গোরু কিনে নিয়ে আসছিলাম । হঠাৎ আটঘরায় আটকে দেয় বিএসএফ। আমরা বৈধ কাগজপত্র দেখাতে গেলে সেগুলি ছিনিয়ে নেয় বিএসএফ । আমাদের গাড়ির চাবিও নিয়ে নেয় ।
পাচারের কোনও উদ্দেশ্যই ছিল না । গোরুগুলি উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগনার বিভিন্ন কসাইখানায় নিয়ে যাচ্ছিলাম ।" খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে বাগুইআটি থানার পুলিশ । বিএসএফ-এর থেকে গোরু ব্য়বসা সংক্রান্ত কাগজপত্র ও গাড়ির চাবি নিয়ে ফিরিয়ে দেয় গোরু ব্যবসায়ীদের । তবে, থানা এলাকায় বিএসএফ-এর এই ধরনের অভিযানের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই । এবিষয়ে বিএসএফ-কে জিজ্ঞাসা করা হয় । তারা জানায়, থানা এলাকায় এইসব ক্ষেত্রে অভিযান চালানোর এক্তিয়ার রয়েছে বিএসএফ-এর । তবে, পুলিশ জানায়, বিএসএফ-এর এক্তিয়ার সম্পর্কে কোনও নির্দেশিকা তাদের কাছে নেই ।
পি/ব
No comments:
Post a Comment