মুকুল-জায়া-কে দেখতে হাসপাতালে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় : জল্পনা তুঙ্গে বঙ্গ রাজনীতিতে - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, 2 June 2021

মুকুল-জায়া-কে দেখতে হাসপাতালে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় : জল্পনা তুঙ্গে বঙ্গ রাজনীতিতে








করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মুকুল রায়ের স্ত্রী। ভর্তি রয়েছেন বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে। বুধবার সন্ধেয় মুকুলের স্ত্রীকে দেখতে গেলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই হাসপাতাল পরিদর্শনকে কেন্দ্র করে বঙ্গ রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন।


বুধবার সন্ধে ৬টা ২০ মিনিট নাগাদ বাইপাসের বেসরকারি হাসপাতালে এসে উপস্থিত হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মুকুল রায়ের স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে তিনি হাসপাতালে হাজির হন বলে জানিয়েছেন। চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। তবে মুকুল রায় সেখানে তখন ছিলেন কিনা তা অবশ্য জানা যায়নি। জানা যায়নি তাঁদের মধ্যে সৌজন্য সাক্ষাত হয়েছে কি না। হাসপাতালে কিছুক্ষণ থেকে বেরিয়ে যান ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ। 

তৃণমূল বলছে, মুকুল-জায়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নেওয়া নেহাত 'সৌজন্যমূলক'। তবে ছিদ্রানুসন্ধানকারীরা তা মানবেন কেন ! তাই জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। নিছকই কি সৌজন্য সাক্ষাত ? না রয়েছে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ? উত্তর অবশ্যই সময় দেবে।

তবে গুঞ্জন ছড়ানোর কারণ হলো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু তৃণমূল সাংসদ নন, একুশের ভোটে মমতার পরেই দলের মুখ হিসেবে দেখছে তাঁকে অনেকেই। তবে মুকুল-অভিষেক সম্পর্ক আগে থেকেই আদায় কাঁচকলায়। নির্বাচনে বিজেপির ধরাশায়ী হওয়ার পর থেকেই একের পর এক জল্পনা তৈরির উপাদান নিয়ে হাজির বঙ্গ রাজনীতির পাঠ-প্রকৃতি।

দিন কয়েক আগে বিজেপিকে 'আত্মসমালোচনা'র পাঠ দিয়েছিলেন মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু। সূত্রের খবর,বিধানসভা ভোটে মুকুল রায়কে প্রার্থী করে প্রকারন্তরে একটা কেন্দ্রে আটকে দেওয়া হয়েছিল বলে ক্ষোভ রয়েছে মুকুল ঘনিষ্ঠদের। অন্যদিকে, ভোটপ্রচারে মুকুলের প্রশংসা শোনা গিয়েছিল তৃণমূল নেত্রীর গলায়। বলেছিলেন,'মুকুল বেচারা থাকে কাঁচরাপাড়ায়। বারাকপুর, জগদ্দল, ভাটপাড়া- এগুলি ওঁর নিজের জেলার বিধানসভা কেন্দ্র। পাঠিয়ে দিয়েছে কৃষ্ণনগরে। মুকুল শুভেন্দুর মতো এত খারাপ নয়! অন্তত এটা আমি বলব।' যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করেছেন সেসময় রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।    

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে করোনা আক্রান্ত হন মুকুল রায় ও তাঁর স্ত্রী। দুজনেই ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। মুকুলবাবু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও তাঁর স্ত্রী এখনো চিকিৎসাধীন।

বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই মুকুল রায়ের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা শুরু হয় বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায়। বেশ কিছুদিন জল্পনা চলার পর বিবৃতি দিয়ে তার অবসান ঘটানোর চেষ্টা করেন মুকুল। জানান, ‘বিজেপির সৈনিক হিসাবেই কাজ করবেন তিনি।’ তার পর কিছুদিন বিষয়টি ধামাচাপা পড়লেও সম্প্রতি ফের উসকে ওঠে মুকুলপুত্র শুভ্রাংশুর ফেসবুক পোস্টে। 

ফেসবুক পোস্টে দলীয় নেতৃত্বের সমালোচনা করে শুভ্রাংশু লেখেন, ‘বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসা সরকারের সমালোচনার আগে আত্মসমালোচনা প্রয়োজন।’ এর পরই ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তবে কি তৃণমূলে ফিরতে চলেছেন শুভ্রাংশু। সেই জল্পনার কোনও জবাব দেননি পিতা-পুত্র। 

এবারে অভিষেকের সফর বীজপুরের রায়বাড়ির সঙ্গে কালীঘাটের বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির সঙ্গে কোনো যোগসূত্র তৈরির করে কিনা সেটাই এখন দেখার।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad