জাল স্যানিটাইজার তৈরির কারখানার হদিশ। রাজারহাট রেকজোয়ানী এলাকায় রমরমা চলছিল জাল স্যানিটাইজার তৈরির কারবার। সেই কারখানায় হানা দিয়ে উদ্ধার প্রচুর পরিমানে জাল স্যানিটাইজার। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে স্যানিটাইজার তৈরির বেশ কিছু সরঞ্জাম। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রাজারহাট এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ।
করোনা পরিস্থিতিতে সর্বত্রই রমরমা কারবার চলছে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কেও কেও নামি কোম্পানীর ব্রান্ডের নামে শুরু করেছে জাল স্যানিটাইজার তৈরির অবৈধ কারবার। এমনই এক জাল স্যানিটাইজার তৈরির কারখানার হদিস পেল ড্রাগ কন্ট্রোল ও এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ।
গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে সোমবার রাতে ড্রাগ কন্ট্রোল ও ইবির আধিকারিকরা রাজারহাট থানার পুলিশকে সাথে নিয়ে অভিযান চালায় রাজারহাট থানার অন্তর্গত রেকজোয়ানী এলাকার দুটি বাড়িতে। জানাগেছে সেখানে দুটোবাড়ি ভাড়া নিয়ে রমরমা কারবার চালাচ্ছিল জাল স্যানিটাইজারের। সেখানেই তৈরি করা হোত স্যানিটাইজার। সেই দুটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাড়ি দুটি থেকে উদ্ধার হয় ৩০ হাজার লিটার জাল হ্যান্ড স্যানিটাইজার। বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রচুর পরিমানে স্যানিটাইজার তৈরির রাষায়নিক সহ অন্যান্য সরঞ্জাম। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় জাল স্যানিটাইজার তৈরির কারখানার ম্যানেজার তাপস মিত্র নামে বেলঘরিয়ার এক যুবককে। পুলিশ দুটি বাড়িকেই সিল করে দিয়েছে তদন্তের সাপেক্ষে। ধৃতকে রাজারহাট থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ইনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা।
এই ঘটনার তদন্তে বেশ কিছু প্রশ্ন সামনে এসেছে ইবি কর্তাদের। জাল স্যানিটাইজার তৈরির কারবারীরা দেশের নামী নামী ব্রান্ড ছেড়ে কেনই বা কোলকাতার ডক্টর প্লাস নামে এক অখ্যাত কোম্পানীর স্যানিটাইজার তৈরি করছিল? নাকি বিনা লাইসেন্সেই অবৈধভাবে স্যানিটাইজার তৈরির কারবার চালাচ্ছিল ডক্টর প্লাস? উল্লেখ্য ডক্টর প্লাস কোলকাতার এক বাংলা সংবাদ চ্যানেলের সিস্টার কনসার্ন।
No comments:
Post a Comment