প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : ঘি ভারতীয় খাবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি খাবারের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহৃত হয়। ঘি আয়ুর্বেদে ওষুধ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। চিকিৎসকরা শীত- গ্রীষ্ম সহ সমস্ত ঋতুতে ঘি খাওয়ার পরামর্শ দেন। খাঁটি ঘিটিতে ভিটামিন এ, কে, ই, ওমেগা -৩ এবং ওমেগা ৯ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা বহু রোগে উপকারী। এটি ঠাণ্ডা-কাশি এবং ফ্লু রোগের নিরামাহক বিশেষত পরিবর্তিত মৌসুমে। এটি ইমিউন সিস্টেমকেও শক্তিশালী করে। আপনি যদি ঘি এর সুবিধা সম্পর্কে সচেতন না হন তবে আমাদের জানান-
কোষ বৃদ্ধি :
আধুনিক সময়ে লোকেরা ওজন বাড়ার ভয়ে ঘি সেবন করে না। তবে ঘিতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে। এর ফলে শরীরে কোষের বৃদ্ধি ঘটে। এছাড়াও এটি শরীরে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি গ্রহণ করে এবং গুরুত্বপূর্ণ হরমোন নিঃসরণ করে। এর জন্য প্রতিদিন এক চা চামচ ঘি ডাল / চাল / রোটিতে মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে :
এক গবেষণা অনুসারে দেখা গেছে যে, ঘি তে প্রচুর পরিমাণে বিউটিক অ্যাসিডে পাওয়া যায়, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কার্যকর প্রমাণ করতে পারে। একই সময়ে, বিউটিক অ্যাসিড বিপাক সংশোধন করে, যার ফলে পেট সুষ্ঠুভাবে কাজ করে। এ ছাড়া ঘি ব্যবহার ফোলাভাব, পেটে ব্যথায়ও মুক্তি দেয়।
ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে :
চিকিৎসকরা করোনার সময়কালে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করার পরামর্শ দেন। এছাড়াও, পরিবর্তিত আবহাওয়া অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। এই মরশুমে আপনি আপনার ডায়েটে ঘি যোগ করতে পারেন। ঘি খাওয়ার ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যায়। এতে পাওয়া বিউটিক অ্যাসিড ভিটামিন-এ এবং সি প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

No comments:
Post a Comment