প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : আপনি যদি ওজন কমাতে চান তবে আপনার ডায়েটে শসা নিন। গ্রীষ্মে সর্বাধিক খাওয়া শসা শরীরকে কেবল শীতল বোধ করে না, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং জলশূন্যতায়ও সহায়তা করে। এটিতে খুব কম ক্যালোরি থাকে। এটি প্রতিদিন স্যালাড হিসাবে বা স্মুদি হিসাবেও খাওয়া যেতে পারে।
গ্রীষ্মে, বিশেষত গ্রীষ্মে শসা খাওয়া কেন গুরুত্বপূর্ণ ?
কারণ এই দিনগুলিতে ঘাম হওয়ার কারণে তৃষ্ণার্ত বেশি হয় লোকেরা। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা খুব জরুরি। শসাতে ৯৫ শতাংশ জল থাকে। এভাবে শসা খাওয়ার ফলে শরীরে জলের অভাব পূরণ হয়। এর সাথে শসার বীজ কোষ্ঠকাঠিন্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করে।
শসা কীভাবে ওজন কমাতে সহায়তা করে?
প্রথম জিনিসটি এতে কোনও ক্যালোরি নেই। ওজন কমাতে, আমাদের ক্যালোরি গ্রহণের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিৎ। আপনি সারা দিন ধরে খাওয়ার চেয়ে বেশি ক্যালোরি জ্বালিয়ে আপনার ওজন হ্রাস করতে পারেন। একটি ৩০০ গ্রাম শসাতে কেবল ২ গ্রাম প্রোটিন এবং ০.৩ গ্রাম ফ্যাট থাকে। কেবল এটিই নয়, কেবল ১ কাপ শসার মধ্যে ১৪ টি ক্যালোরি পাওয়া যায়। বারবার ক্ষুধা লাগলে আপনি যতটা শসা খেয়ে পেটের ক্ষুধা প্রশমিত করতে পারেন তাতে আপনার ওজন বাড়বে না।
শশা খাওয়ার অন্যান্য সুবিধা :
শসাতে বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি এর মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে যা আমাদের দেহে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যার কারণে আমরা বারবার অসুস্থ হই না।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় যদি আপনার মাথাব্যথা বা হ্যাংওভার হয় তবে আপনার শোবার আগে শশা খাওয়া উচিৎ। এতে ভিটামিন বি, চিনি এবং ইলেক্ট্রোলাইট রয়েছে যা মাথা ব্যথা এবং অ্যাপেনডিসাইটিস থেকে পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে।
শসা ত্বকের জন্য উপকারী বলে বিবেচিত হয়। এটি চুল এবং নখকে উজ্জ্বল করে এবং তাদের শক্তিশালী করে। নিয়মিত শসা সেবন করলে দেহের টক্সিন নিঃসৃত হয়।
শসা খাওয়া শরীরের অভ্যন্তরে এবং বাইরে শীতলতায় পৌঁছে যায়। শশা খেলেও অ্যাসিডিটির (অম্বল জ্বলন) প্রশ্রয় হয়। এছাড়াও রোদের উত্তাপ থেকে জ্বলন্ত ত্বকে শসা প্রয়োগ করলে আরাম পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment