প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : গ্রীষ্মকাল আমের মৌসুম হিসাবেও পরিচিত। আম একটি সুস্বাদু এবং রসালো ফল যা থেকে আপনি এই মরশুমে হারিয়ে যেতে চাইবেন না।এটি কেবল একটি সুস্বাদু ফলই নয় এটি আপনাকে অনেকগুলি স্বাস্থ্য সুবিধাও দিতে পারে। গ্রীষ্মের এই ফলটি এক নয়, তবে বিভিন্ন উপায়ে এটি আমাদের স্বাস্থ্যকে বাড়িয়ে তোলে এমন পুষ্টিতে পরিপূর্ণ। ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি হওয়ায় আমের আপনার ওজন হ্রাস করার জন্য একটি উপযুক্ত খাদ্য।
ভিটামিন সি ছাড়াও আপনি আপনার ডায়েটে আমের যোগ করে ফোলেট, প্রোটিন, ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন এ, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টিও পেতে পারেন। পুষ্টিবিদ এবং ফিটনেস বিশেষজ্ঞ মুনমুন গানেরিওয়াল আপনার এই ফলটি কেন ছেড়ে দেওয়া উচিৎ নয় তা ইনস্টাগ্রামে কয়েকটি কার্যকর কারণ শেয়ার করেছেন।
আম খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা :
ডায়াবেটিস এবং ওজন হ্রাস জন্য অনুকূল -
গ্লাইসেমিক সূচক আমের মধ্যে কম পরিমাণে থাকে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের পক্ষে এটি গ্রহণ করা নিরাপদ। পুষ্টিবিদরা বলছেন যে আম কেবল ডায়াবেটিসের জন্যই নিরাপদ নয়, রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি না করে ক্রমাগত শক্তি সরবরাহ করে। আম ওজন হ্রাসের পক্ষেও অনুকূল, কারণ এটি চর্বিযুক্ত, কোলেস্টেরল মুক্ত এবং আপনাকে চর্বিযুক্ত করে না, এমনকি আপনি এটি প্রতিদিন খান। এটি দ্রবণীয় ফাইবারে পূর্ণ যা আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য সন্তুষ্ট রাখতে পারে এবং তাই আপনি অতিরিক্ত খাওয়া এড়াতে পারেন।
রক্তচাপ এবং থাইরয়েডের অবস্থার উন্নতি করে-
আমের মধ্যে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন সি জাতীয় পুষ্টি রয়েছে যা আপনার রক্তচাপের স্তরকে উন্নত করতে পারে। আমের উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম থাইরয়েড সম্পর্কিত সমস্যাগুলির সাথে লড়াই করে এমন লোকদের জন্যও উপকারী।
হজম সহায়তা -
উদ্ভিদ-ভিত্তিক পুষ্টিকর সমৃদ্ধ পরিমাণে ডায়েট্রি ফাইবার এবং জল সাধারণ যা আপনাকে স্বাস্থ্যকর এবং আপনার হজম রাখতে সহায়তা করতে পারে। ফাইবার স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের গতিবিধি নিশ্চিত করতে পারে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। এই সরস ফলটিতে হজম এনজাইমও রয়েছে।
ত্বকের সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়ক-
আমের মধ্যে উপস্থিত ভিটামিন এ এটিকে আপনার ত্বকের সেরা বন্ধু করে তোলে। এটি ব্রণর সাথে লড়াই করতে সহায়তা করে এবং অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য সরবরাহ করে। ভিটামিন সি কোলাজেনের উত্পাদন বাড়ায় যা ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
আম খাওয়ার সঠিক উপায়টি কেমন?
পুষ্টিবিদরা খাওয়ার আগে ৩০ মিনিটের জন্য আম জলে ডুবিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন। এর পরে সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৫ টা অবধি এটি উপভোগ করুন। এই মৌসুমে, ফলের রাজা আমের খাওয়া বন্ধ করা উচিৎ নয় বরং এর বহু সুবিধা উপভোগ করা উচিৎ।
No comments:
Post a Comment