প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : প্রতিটি ব্যক্তি একটি ভাল দৈর্ঘ্য চায়, যাতে তার ব্যক্তিত্বকে ভাল দেখায়। যদিও এটি সাধারণত বিশ্বাস করা হয় যে একটি মানুষের দৈর্ঘ্য ২৬ বছর বয়স পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। তবে ২৬ বছর পরেও অনেকের দৈর্ঘ্য অল্পই থেকে যায় । বিশেষত আজকাল, দূষণ এবং ফাস্টফুডের যুগে দৈর্ঘ্য সংক্ষিপ্তকরণ একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দৈর্ঘ্য বাড়ানোর জন্য তিনটি কারণ কাজ করে, যার মধ্যে হরমোনের স্বাভাবিক মুক্তি, শক্ত হাড় এবং ভাল খাবার বিশিষ্ট। এমন পরিস্থিতিতে, এখানে আমরা আপনাকে এমন বিষয়গুলি সম্পর্কে বলছি, যার মাধ্যমে আপনি আপনার প্রাকৃতিক উচ্চতা বাড়াতে পারবেন।
ডিম: ডিম খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরে শক্তি ব্যবহার হয়। এছাড়াও, আমরা ডিম থেকে প্রোটিন পাই। যখন আমাদের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায়, তখন আমাদের দেহের আরও প্রোটিন এবং শক্তি প্রয়োজন। এ ছাড়া শক্ত হাড়ের জন্য ডিমের মধ্যে ক্যালসিয়াম, দস্তা এবং আয়রনও পাওয়া যায়। অতএব, আপনার ডায়েটে ডিম অন্তর্ভুক্ত করুন, এটি দৈর্ঘ্য বাড়াতে সহায়তা করবে।
মধু: আমাদের শরীর মধু থেকে যে চিনি পায় তা শোষণ করে। এছাড়াও, আমরা মধু থেকে প্রচুর শক্তি পাই এবং এর সাথে আমাদের ইনসুলিন স্তরও স্বাভাবিক থাকে। এর সাথে সাথে আমরা অনেক খনিজও পাই যা আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কলা : কলা ভিটামিন এবং খনিজগুলির একটি দুর্দান্ত উৎস। একই সাথে এটি আমাদের হজমকেও ঠিক রাখে। আমাদের প্রাতঃরাশে কলা খাওয়ার ফলে আমাদের দেহ প্রয়োজনীয় খনিজ এবং শক্তি পায়। কলা পটাসিয়ামের একটি ভাল উৎস, যা আমাদের দৈর্ঘ্য বাড়াতে সহায়ক।
ওটস : ওটস আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারী। ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন, দস্তা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলি ওটসের মধ্যে পাওয়া যায়। এর সাথে ভিটামিন এ, বি, ই এবং কেও পাওয়া যায়। যা আমাদের দেহের বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাতঃরাশে জামার ব্যবহার আমাদের দৈর্ঘ্য বাড়াতে খুব সহায়ক হতে পারে।
শাকসবজি: সবজিতে ভিটামিন এ প্রচুর পরিমাণে লাল এবং কমলা রঙের শাকসব্জী যেমন গাজর, পেপারিকা, টমেটো এবং কুমড়োতে পাওয়া যায়। ভিটামিন ডি এবং ব্রোকলি, পালংশাক ইত্যাদি সবুজ শাকসব্জিতে পাওয়া যায়। আমাদের স্বাস্থ্য এবং দৈর্ঘ্য বাড়ানোর জন্য এই সমস্ত ভিটামিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আখরোট : ভাল দৈর্ঘ্যের জন্য শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন। তাই হাড়ের টিস্যু স্বাস্থ্যের জন্য আখরোট বাদাম খাওয়া খুব উপকারী। এর সাথে আখরোটে ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ফসফরাসও পাওয়া যায়। দুধে আখরোট খাওয়া খুব উপকারী।
No comments:
Post a Comment