প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : সনাতন ধর্মে কলার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এই উদ্ভিদে মানুষের প্রচুর বিশ্বাস রয়েছে। একটি ধর্মীয় বিশ্বাস রয়েছে যে কলা গাছে ভগবান বিষ্ণু বাস করেন। এ জন্য বৃহস্পতিবার কলা গাছের পুজো করা হয়। কলা স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। বিশেষজ্ঞরা সর্বদা ওজন বাড়ানোর জন্য কলার শেক (কলা এবং দুধ) পান করার পরামর্শ দেন। একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে যে প্রতিদিন ৬ টি কলা খেলে এক সপ্তাহে এক কিলো ওজন বাড়তে পারে। একই সাথে কলা পাতা, ফুল এবং খোসাও উপকারী। বিশেষত ডায়াবেটিসে কলা ফুল এবং খোসা জীবন বাঁচানোর ঔষধি হিসাবে কাজ করে। আসুন, এটি সম্পর্কে সমস্ত কিছু জানি-
প্রকাশিত একটি গবেষণা কলার খোসার সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়। এটিতে ট্রাইপ্টোফান (প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড), ভিটামিন-সি, বি ৬, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফ্ল্যাভোনয়েডস এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসের বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা বিভিন্ন রোগে উপকারী। এটিতে পাওয়া ফ্ল্যাভোনয়েডগুলি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এক বর হিসাবে কম নয়। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে ফ্ল্যাভোনয়েডস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া কলার খোসাতে ফাইবার পাওয়া যায় যা বর্ধিত ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফল খাওয়ার চেয়ে খোসা ছাড়িয়ে শরীরে ১০ শতাংশ বেশি ফাইবার পাওয়া যায়।
কীভাবে গ্রাস করবেন ?
অনেক গবেষণায়, কলার খোসাকে সুপারফুড হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। বাজারে কলা খোসার গুঁড়ো (এক্সট্রাক্ট) পাওয়া যায়। এটি দুধ বা জলের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে সকালে খালি পেটে দুধ সেবন করলে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়াও, আপনি কলার খোসা সিদ্ধ করে জলখাবার হিসাবে খেতে পারেন। তবে কলা খোসা খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
No comments:
Post a Comment