প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : হার্ট আমাদের দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। যা সারাজীবন অবিরাম কাজ করে চলেছে। সুতরাং, এটির বিশেষ যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ । তবে অনেক সতর্কতার পরেও প্রতি বছর হৃদরোগের কারণে অনেকে মারা যায়। এটি হওয়ার মূল কারণ হ'ল আমাদের খাওয়া দাওয়া, যা আমাদের দেহে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। তাই আমরা যদি আমাদের খাবার-দাবারের প্রতি যথাযথ মনোযোগ দিই, তবে অনেকাংশে আমরা আমাদের হার্টকে শক্তিশালী রাখতে পারি। তাই আজ আমরা আপনাকে ৫- টির মতো জিনিস সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি। এগুলি না খেয়ে আপনি আপনার হৃদয়ের যত্ন নিতে পারেন।
১. আলু চিপস
আলুর চিপসে প্রচুর পরিমাণে ট্রান্স ফ্যাট, সোডিয়াম, কার্ব-হাইড্রেট এবং এরকম আরও অনেক কিছু পাওয়া যায় যা আপনার দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতি করে। অনেক গবেষণায় আরও জানা গেছে যে যে লোকেরা প্রতিদিন ২০০ মিলিগ্রামেরও বেশি সোডিয়াম খান তাদের বেশিরভাগ লোকই হৃদরোগে ভোগেন। এর পাশাপাশি আলু আমাদের দেহের মেদও বাড়ায়। আর এতে পাওয়া নুন হৃদরোগ বাড়ায়।
২. কফি
অনেকেরই কফি খুব পছন্দ, আবারও অনেকের বারবার কফি পান করার অভ্যাস থাকে। সময় সাশ্রয় করার জন্য তারা কফিটিকে একটি ফ্রিজে রেখে তার পরে এটি ব্যবহার করেন। তবে তারা জানেন না যে কফিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি এবং ফ্যাট পাওয়া যায়। এতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও এতে থাকা ক্যাফিন রক্তে শর্করার মাত্রাও বাড়িয়ে তোলে। কফি ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকারক পদার্থ।
৩. ভাজা চিকেন
প্রতিটি ভাজা খাবার আমাদের দেহের ক্ষতি করে। কারণ এতে প্রচুর ট্রান্স ফ্যাট রয়েছে। যা কেবল আমাদের হৃদয়কেই দুর্বল করে না, আমাদের কোমরকেও প্রয়োজনের চেয়ে আরও বেশি প্রশস্ত করে তোলে। খাবারটি ভাজার জন্য যে তেল ব্যবহার করা হয় তা খাবারের ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টগুলি ধ্বংস করে এই জাতীয় অক্সিডেন্ট তৈরি করে। যার কারণে কোষগুলি ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
৪. পিজ্জা
আজকের যুগে পিজ্জা সকলের প্রিয়। শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত সবাই এটি পছন্দ করে। তবে আপনি কি জানেন যে এটিতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এবং সোডিয়াম থাকে। আর এতে থাকা জিনিসটি দেহের মেদ বাড়ানোর জন্য কাজ করে। পিজ্জার পাশাপাশি এর সসেও প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম থাকে,এগুলি খেলে ধমনী ব্লক হতে পারে।
৫.মার্জারিন :
মার্জারিন মাখনের বিকল্প হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এটি হাইড্রোজেনেটেড তেল থেকে তৈরি, যা ট্রান্স ফ্যাটের একটি প্রধান উৎস। এটি আমাদের দেহের কোলেস্টেরল বাড়ায়। এটি কেবল আমাদের হৃদয়ের স্বাস্থ্যের জন্যই ক্ষতিকারক নয়, এটি ত্বকের বৃদ্ধির প্রক্রিয়াটিকেও ত্বরান্বিত করে। অর্থাৎ সময়ের আগেই আমাদের ত্বক বৃদ্ধ হতে শুরু করে। মার্জারিনের পরিবর্তে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করা উচিৎ।
No comments:
Post a Comment