বিদেশী মোমবাতি ও টুনিবাল্বকে টেক্কা দিতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছেন টেরাকোটা শিল্পীরা - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, 3 November 2020

বিদেশী মোমবাতি ও টুনিবাল্বকে টেক্কা দিতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছেন টেরাকোটা শিল্পীরা


নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর দিনাজপুরহাতে আর কয়েক দিন তার পর আপামর দেশবাসী আলোর উৎসব অর্থাৎ  দীপাবলি উৎসবে মেতে উঠবেন। ডিজিটাল আলো কেন্দ্র করে বাজার মাতিয়েছে রং-বেরঙ্গের বৈদ্যুতিক লাইট, যা টুনিবাল্প নামে পরিচিত। আর তাই  টুনিবাল্বের সঙ্গে পাল্লা দিতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েন উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ৮ নম্বর মুস্তফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কুনোরের হাটপাড়া গ্রামের টেরাকোটা শিল্পীরা। তাঁরা সাবেকী প্রদীপ বানানোর পাশাপাশি সাধারন মানুষদের নজর কাড়তে এবারও  নতুন টেরাকোটা মডেলের প্রদীপ তৈরি করছে, যা বাকুড়া, বীরভূমের টেরাকোটার আদলে। 

কালিয়াগঞ্জের হাটপাড়ার মৃৎ শিল্পীদের ব্যস্ততা। গ্রামের প্রতিটি বাড়ীতে সকল সদস্য মিলে টেরাকোটার আধুনিক ডিজাইনের প্রদীপ বানিয়ে চলেছেন। তারা নানা ধরনের সুসজ্জিত প্রদীপের ঝাড় বা স্ট্যান্ড প্রদীপ ও পঞ্চ প্রদীপ,আলাদিনের প্রদীপ, নারকেল প্রদীপ, ম্যাজিক প্রদীপ,গণেশ প্রদীপ সহ আরও নানা ধরনের প্রদীপ তৈরি করছেন। এবছর করোনা আবহের কারণে তাদের বাজার গত বারের তুলনায় অনেকটাই খারাপ। তাই বিগত বছরে যেভাবে বিভিন্ন ধরনের টেরাকোটা প্রদীপ বানাতেন, তার তুলনায় অনেকটা কম বানিয়েছেন বলে জানান টেরাকোটা শিল্পী দুলাল রায়। 

তাঁদের প্রদীপ শুধু জেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, এরই মধ্যে অন্যান্য জেলা সহ ভিন রাজ্য থেকে হাটপাড়ার মৃৎ শিল্পীদের কাছে একাধিক ডিজাইনের প্রদীপের অর্ডার এসে পৌঁছেছে। গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে যখন মোমবাতি ও টুনিবাল্বর রমরমা, ঠিক সেই সময় দাঁড়িয়ে কালিয়াগঞ্জের হাটপাড়ার গ্রামের মৃৎ শিল্পীরা বিদেশী মোমবাতি ও টুনিবাল্বকে টেক্কা দিতে বদ্ধপরিকর। বাজারে টুনি বাল্বের যতই রমরমা থাকুক না কেন, দিন দিন এই টেরাকোটার প্রদীপের চাহিদা বেড়েই চলেছে। শুধু জেলা নয় ভিনরাজ্য থেকে ব্যবসায়ীরা এসে টেরাকোটার প্রদীপের অর্ডার দিয়ে যায়। ডিজাইন অনুযায়ী প্রতিটি প্রদীপ ৫০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয় এমনকি তার চেয়েও বেশি দামের প্রদীপ বানিয়ে থাকেন । এই প্রদীপ গুলি বিক্রি করে তাদের ভালোই ফুনাফা লাভ হয় বলে জানান শিল্পী মিরা রায়।

'প্রদীপ বানিয়ে বেশি লাভ পাওয়া যায় বলে আমরা  সাবেকি প্রদীপের বদলে বিভিন্ন ডিজাইনের টেরাকোটার প্রদীপ বানানোর ওপর বেশি জোর দিই। কিন্তু এবছর করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউনের জেরে সেরক বাজার নেই। তাই অন্যান্য বারের তুলনায় অনেক কম টেরাকোটা প্রদীপ বানানো হয়েছে,' জানান শিল্পীরা। তবে তারা প্রতিবছর টেরাকোটা প্রদীপ বানিয়ে যে মুনফা লাভ করে, এবছর সেটি হবে না। তাই তাদের মন খারাপ।


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad