বন্যায় বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে রয়েছে দেশের কয়েকটি অঞ্চল - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, 18 August 2020

বন্যায় বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে রয়েছে দেশের কয়েকটি অঞ্চল

 

 বিহারে বন্যা বিপর্যয় অব্যাহত রেখেছে। কিছু কিছু অঞ্চলে বন্যার জল কমে গেলেও বন্যার জলে ক্ষেতগুলি এখনও বন্যার পূর্ণ। ৮১ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন, যার কারণে রাজ্যের ১৬ টি জেলার ১৩০ টি ব্লকে বন্যার জল এখনও ছড়িয়ে পড়েছে। বন্যার কারণে এখনও অবধি ২৫ জন মারা গেছেন, আট লাখ হেক্টর জমিতে ফসল পুরোপুরি বন্যার জলে ডুবে গেছে।


আসামের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে বন্যা ও বৃষ্টিপাত মানুষকে হতাশায় ফেলে রেখেছে। এখানে সিংগারা নদীর স্তর বাড়ার সাথে সাথে অনেকে ডুবে গেছেন বলে জানা গেছে। আসামের তিনটি জেলা, ধেমাজি, লখিমপুর ও বাক্সা এখনও বন্যায় রয়েছে এবং এই জেলার ১১,৯০০ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। বন্যার সাথে জড়িত ঘটনাগুলিতে ১১২ জন মারা গেছেন এবং ভূমিধসে ২৬  জন নিহত হয়েছেন। ২৮ টি গ্রাম এবং ১,৫৩৫ হেক্টর ফসলি জমি তিন বন্যা-ক্ষতিগ্রস্থ জেলায় ডুবে গেছে।


ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরের খুন্তঘাটে নদীর শক্ত প্রবাহে আটকা এক যুবককে উদ্ধার করেছে ভারতীয় বিমানবাহিনী। এই যুবক শক্তিশালী স্রোতের মাঝে কেবল একটি গাছের সাহায্যে সারা রাত আটকে ছিল।


একই সাথে গুজরাটে বন্যা ও বৃষ্টিপাতের ঘটনাও ঘটেছে। বর্তমানে সুরত, জামনগর ও ভাদোদরা বন্যায় ভুগছে। সুরত ও ভাদোদরার নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত। এখানে বিশ্বামিত্র নদীর জলের স্তর বেড়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর আগামী তিন দিনের জন্য ভাদোদরায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দিয়েছেন। গিরের লখনকা গ্রামে একটি অপরিশোধিত বাড়ির দেয়াল পড়ে বাড়িটি ভেঙে যায়। ভারী বৃষ্টির কারণে গুজরাটের নর্মদা জেলার দাদিপদায় মানুষের ঘরে ঘরে জল প্রবেশ করেছে। একই সাথে কুমির রাস্তায় ভাদোদরায় উঠে এসেছিল। তবে পরে একটি সংস্থা সেখান থেকে কুমিরটিকে সরিয়ে নিয়ে যান।



উত্তর প্রদেশের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বললে, নেপালের বাঁধ থেকে প্রায় ৩ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার পরে ঘাঘরা নদীর জলের স্তর বেড়েছে। ঘাগড়া নদীর জলস্তর বৃদ্ধির কারণে সীতাপুর, গন্ডা ও বহরাঞ্চ অন্যান্য জেলাগুলিতে বন্যার মতো পরিস্থিতিতে রয়েছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad