সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলার তদন্তকারী সিবিআই এখন অভিনেতার মোবাইল ফোনটি নেওয়ার জন্য মুম্বই পুলিশকে একটি চিঠি লিখছেন। সিবিআই সুশান্তের মোবাইলটি চেক করতে চায় যাতে তার হোয়াটসঅ্যাপের বার্তাগুলি তদন্ত করতে পারে। এছাড়াও, সুশান্ত মোবাইলের মাধ্যমেও অর্থনৈতিক লেনদেন করেছে কিনা তাও জানা যানতে চায়।
মোবাইলের তদন্তের মাধ্যমে সিবিআই এই সত্যটি জানতে চায় যে সুশান্ত আসলেই হতাশায় ছিলেন?, কারণ এই সময়ে সুশান্ত এবং অন্যদের হোয়াটসঅ্যাপের বার্তা প্রকাশ পেয়েছে। সেই ম্যাসেজের অনেকের কাছ থেকে জানা গেছে যে সুশান্ত হতাশায় ছিলেন না। বরং দিশা স্যালিয়ান সহ তাঁর নতুন রচনা সম্পর্কেও তিনি তার অনেক বন্ধুর সাথে কথা বলেছিলেন, তাই এপ্রিল মাসে নতুন প্রকল্প নিয়ে সুশান্তের দীর্ঘ আলোচনা হয়েছিল। মনে রাখবেন যে সুশান্তের মৃত্যুর কয়েক দিন আগে দিশা স্যালিয়ানেরও মৃত্যু হয়েছিল।
সিবিআইয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার মতে, মোবাইল ফোন মামলার সাথে সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ এবং লিঙ্ক প্রমাণিত হতে পারে। এছাড়াও, মোবাইল ফোনটি পরীক্ষা করে জানা যাবে যে সুশান্ত কাদের সাথে অর্থনৈতিক লেনদেন করেছিলেন। এছাড়াও, তিনি কার সাথে তাঁর অর্থনৈতিক লেনদেনের বিষয়ে কথা বলেছেন।
সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্ত চলাকালীন কে সুশান্তকে প্রকৃতপক্ষে আত্মহত্যা করেছে কে তাকে ঠকিয়েছিল তা জানতে এফআইআর-এর অন্যান্য ধারার অধীনে তদন্ত চলছে।
আসলে, সিবিআই সুশান্তের হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাটগুলি এখনও অবধি দেখতে বাধ্য হয়েছে এবং ভাবতে শুরু করেছে যে এতটা প্রিয় ব্যক্তি কীভাবে ডিপ্রেশনে যেতে পারেন। সুতরাং মামলার তলদেশে যেতে সিবিআইও এই তদন্ত করবেন।
এখন সিবিআই এমন একটি আলাপ তদন্ত করতে চলেছেন যা গত এক মাসে সুশান্ত তার বন্ধু বা অন্য ব্যক্তির সাথে করেছিলেন। সুশান্ত সিং হতাশায় পড়েছিল বলে সিবিআই আসলে সেই দিকগুলি তদন্ত করছে। যেহেতু হতাশায় মানুষের আন্তঃসংযোগের স্টাইলটি পরিবর্তিত হয়, সিবিআই তাদের মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করবে যে সুশান্ত আসলেই হতাশায় ছিল কি না। ৩০৬ ধারা অনুসারে আত্মহত্যা করার প্রবণতা অনুসারে ব্যক্তি মারা গিয়েছিল, না তার ওপর মানসিক চাপ ছিল কিম্বা তাকে হতাশায় আনা হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার।
No comments:
Post a Comment