হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, ভগবান শ্রী কৃষ্ণ ভদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে এবং রোহিনী নক্ষত্রের জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এবার ১১ ও ১২ আগস্ট জন্মাষ্টমী উৎসব পালিত হয়েছিল। আজ আমরা আপনাকে শ্রীকৃষ্ণের দ্বারকাধিশ মন্দির সম্পর্কে বলব, যা দেশ এবং বিশ্বে খুব জনপ্রিয়। এই মন্দিরটিকে হিন্দু ধর্মের চার ধামের মধ্যে একটিও বিবেচনা করা হয়।
পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, প্রায় পাঁচ হাজার বছর পূর্বে ভগবান শ্রী কৃষ্ণ দ্বারকা শহরকে স্থায়ী করেছিলেন। ভগবান শ্রী কৃষ্ণের ব্যক্তিগত প্রাসাদ হরি গ্রহে দ্বারকাধিশ মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল। এটি দ্বারকাধিশ মন্দিরের ভগবান শ্রী কৃষ্ণের শ্যামবর্ণী চতুর্ভূজ মূর্তি, যা রৌপ্য সিংহাসনে বসে আছে। এই মূর্তিতে কৃষ্ণ হাতে শঙ্খ, গদা, চক্র এবং পদ্ম ধারণ করেছেন। প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের কারণে এই মন্দিরটি ২০০০ থেকে ২২০০ বছর পুরানো হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
এছাড়াও, চুনাপাথরের তৈরি, ৭ তলা দ্বারকাধিশ মন্দিরের উচ্চতা প্রায় ১৫৭ ফুট। এই মন্দিরের বাইরের দেয়ালগুলি সজ্জিত করা হয়েছে, যা শ্রী শ্রী কৃষ্ণের জীবনযাত্রাকে চিত্রিত করে। এই মন্দিরে দুটি প্রবেশ প্রবেশদ্বার রয়েছে। দক্ষিণমুখী গেটকে স্বর্গের দরজা বলা হয়। তীর্থযাত্রীরা সাধারণত এই ফটক দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করেন। উত্তর দিকে, গেটটি যাকে বলে উদ্ধার দ্বার। এই গেটটি গোমতী নদীর ৫৬ টি তীরে পৌঁছেছে এবং এই মন্দিরটি খুব আকর্ষণীয়।
No comments:
Post a Comment