জাতীয় চিকিৎসক দিবস; জেনে নিন এই দিনের বিশেষত্ব - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, 1 July 2020

জাতীয় চিকিৎসক দিবস; জেনে নিন এই দিনের বিশেষত্ব

doctors-day.png



চিকিত্সকদের পৃথিবীতে ঈশ্বরের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের জীবনদাতাও বলা হয়। চিকিত্সকরা প্রতিটি পরিস্থিতিতে তাঁদের দায়িত্ব পালন করেন এবং রোগীদের উন্নততর চিকিত্সা সরবরাহ করেন। তাদের সততা ও উত্সর্গের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতি বছর ১ জুলাই জাতীয় চিকিত্সক দিবস পালিত হয়। এর বাইরেও ভারতের মহান ডাক্তার এবং পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী ডঃ বিধান চন্দ্র রায়কে সম্মান ও শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে এই দিবসটি পালিত হয়।


জাতীয় ডাক্তার দিবস কীভাবে শুরু হয়েছিল?
১ জুলাই ডঃ বিধান চন্দ্র রায়ের জন্মদিন ও মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি চিকিত্সা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য তাঁকে বাংলার স্থপতিও বলা হয়। ১৯৬১ সালে তিনি সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরষ্কার ভারতরত্ন লাভ করেন। তাঁর স্মরণে তত্কালীন কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৯১ সালে জাতীয় ডাক্তার দিবস পালনের ঘোষণা দিয়েছিল। তার পর থেকে প্রতি বছর ১ জুলাই জাতীয় ডাক্তার দিবস পালিত হচ্ছে।


ডঃ বিধান চন্দ্র রায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১ জুলাই ১৮৮২ তে বিহারের পাটনা শহরে। প্রথমে কলকাতায় মেডিকেল পড়াশোনা শেষ করেছেন। এর পরে লন্ডন থেকে তিনি এমআরসিপি এবং এফআরসিএসের ডিগ্রি অর্জন করেন। কথিত আছে যে, একজন ভারতীয় হওয়ায় তিনি লন্ডনের সেন্ট বার্থলোমিউ হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেননি, তিনি প্রায় দেড় মাস ডিনের কাছে আবেদন করেছিলেন, অবশেষে ডিন হার মেনে ৩০ তম বারে তাঁর আবেদন গ্রহণ করেছিলেন। রায় এতটাই সক্ষম ছিলেন যে তিনি আড়াই থেকে দুই বছরে এক সাথে চিকিত্সক এবং সার্জন ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।


লন্ডন থেকে পড়াশোনা শেষ করে রায় ভারতে চলে আসেন এবং ১৯১১ সালে তাঁর চিকিত্সা জীবন শুরু করেন। ভারতে চিকিৎসা ক্ষেত্রে তিনি প্রচুর নাম ও সম্মান অর্জন করেছেন। এর বাইরে রায় রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন। কংগ্রেস দলে যোগ দিলেন। পরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদও গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর জন্মদিনের দিন ১ জুলাই ৮০ বছর বয়সে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad