করোনা লকডাউনের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে চলছে মুসলমানদের পবিত্র রোজা পালন। ব্যতিক্রম নেই পশ্চিমবঙ্গেও। সেখানেও লকডাউনের মধ্যেই রোজা করছেন মুসলিমরা। কিন্তু ঈদে কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকের মধ্যেই। ঈদে কি লকডাউন শিথিল হবে? না কি ঘরবন্দি হয়েই কাটবে এবারের খুশির ঈদ? এসব জল্পনার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিল ইমামদের সংগঠন। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীকে তাদের অনুরোধ, দয়া করে ঈদে লকডাউন শিথিল করবেন না।
আনুমানিক আগামী ২৫ মে ঈদ। মুসলিম সম্প্রদায়ের সব থেকে বড় এই উৎসবে এবার ঝুলছে লকডাউনের কাঁটা। এরই মধ্যে ঈদের কেনাকাটা লাটে উঠেছে। তাতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মন খারাপ ব্যবসায়ীদেরও। তবে করোনা সংক্রমণ যে হারে ছড়াচ্ছে তার মধ্যে লকডাউনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন না কেউ। মুসলমানরাও না।
বিশেষ করে রাজ্যের একাধিক মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় সংক্রমণের ভয়াল চেহারা। এই পরিস্থিতিতে লকডাউন শিথিল হলে কী যে ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে তা বিলক্ষণ জানা আছে ইমামদের। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে ঈদ উপলক্ষ্যে লকডাউন না তোলার বিনীত অনুরোধ করেছেন তারা।
সঙ্গে ইমামদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার ৩০ মে-র আগে লকডাউন তুলে নিলেও রাজ্য সরকার যেন তা না করে।
চিঠির একটি অংশে লেখা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থে অন্তত ৩০ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়িয়ে দিন। আগে মানুষ বাঁচুক, তার পর উৎসব। আমরা এত ত্যাগ করেছি, আরও করব।’
No comments:
Post a Comment