দেশজুড়ে চলছে করোনার তাণ্ডব। এরই মধ্যে সাম্প্রদায়িক উস্কানি চলছে। সঙ্কটের মধ্যেও সাম্প্রদায়িক রঙ লাগিয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা করছে এক শ্রেণীর মানুষ। এবার একই মুসলিম বিদ্বেষের আরেকটি নগ্ন চিত্র দেখা গেল চেন্নাইয়ে। দোকানে মুসলিম কর্মচারী নেই, এমন প্রমাণ করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হলেন এক বেকারির মালিক। ধর্মীয় অবমাননা এবং বিশৃঙ্খলায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
চেন্নাইয়ের টি নগরের মহালক্ষ্মী স্ট্রিটে অবস্থিত ‘জৈন বেকার্স অ্যান্ড কনফেকশনারিজ’ নামে একটি বেকারির মালিক সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। দোকানের সামনে একটি বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং লাগান তিনি। তাতে বলা হয়, 'জৈন কর্মীরা খাবার তৈরি করেন। দোকানে কোনও মুসলিম কর্মী নেই।'
সোশ্যাল মিডিয়ায় তার এই বিজ্ঞাপন চিত্র ভাইরাল হতেই সর্বত্র বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাতে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন ওই বেকারির মালিক। তাতেই টনক নড়ে স্থানীয় পুলিশের। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ করতে এগিয়ে আসে তারা। বেকারির মালিককে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ২৯৫-এ এবং ৫০৪ ধারায় মামলা দায়ের হয়।
এর আগে মধ্যপ্রদেশের ইনদোরের একটি গ্রামে মুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ বলে পোস্টার লাগানো হয়েছিল। সেই নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। করোনা সঙ্কটে একটি বিশেষ ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ বাড়ছে বলে অভিযোগ করেন অনেকে।
তবে কোন সম্প্রদায়ের মানুষকে আঘাত করা তাদের উদ্দেশ্য ছিল না বলে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন চেন্নাইয়ের ওই বেকারির কর্মীরা। তারা জানিয়েছেন, বেকারিতে মুসলিম কর্মী রয়েছেন, তাই সেখানকার জিনিস কেনা চলবে না বলে সম্প্রতি হোয়্যাটসঅ্যাপে একটি মেসেজ ছড়ায়। সেই নিয়ে নানা জায়গা থেকে ফোন আসতে শুরু করে। সকলে জানতে চান, বেকারিতে কোন মুসলিম কর্মী রয়েছে কিনা। সেই গুজবে ইতি টানতেই দোকানের মালিক ওই বিজ্ঞাপন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
No comments:
Post a Comment