কথা অনুযায়ী ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে আজ শুক্রবার সকালে পশ্চিমবঙ্গে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে রাজ্যের বিধ্বস্ত জেলাগুলোর পরিস্থিতি আকাশপথে পর্যবেক্ষণ করছেন তিনি। এরপর বসিরহাটে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মোদি। সেখানে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আম্ফানের ঘটনায় বিভিন্ন জেলায় ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করবেন তিনি। বৈঠকের পর ওড়িষ্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাও পরিদর্শনে যাবেন মোদি।
আজ শুক্রবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে কলকাতা বিমানবন্দরে নামে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাজ্যপা; এবং মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন বিজেপি নেতারাও। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এদিন আকাশপথে রাজারহাট, গোসাবা, মিনাখাঁ, সন্দেশখালি এবং হিঙ্গলগঞ্জ পরিদর্শন করছেন তারা। এরপর বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে করে বসিরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন তারা।
এর আগে বৃহস্পতিবার মমতা বলেছিলেন যে, ১৭৩৭ সালের পর এমন দুর্যোগ আর হয়নি। আম্ফানের তাণ্ডবে রাজ্যে ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে কলকাতায় ১৯ জন এবং বিভিন্ন জেলায় ৬১ জন মারা গেছেন। এছাড়া কলকাতা, দুই ২৪ পরগনাসহ রাজ্যের অন্তত ১৩টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৭-৮টি জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং আরও ৪-৫টি জেলা বিপর্যস্ত।
উত্তর ২৪ পরগনায় প্রশাসনিক কর্মকতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর দুপুর ১টার দিকে কলকাতা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এর পর দুপুর দেড়টার দিকে দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছনোর কথা মোদির। সেখান থেকে ওড়িষ্যার ভুবনেশ্বরের দিকে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে আম্পানে বিধ্বস্ত রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির মোকাবিলায় ইতোমধ্যেই এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। করোনা পরিস্থিতির কারণে এমনিতেই আর্থিক সঙ্কট চলছে রাজ্যে। এরই মধ্যে আম্ফানের জেরে ক্ষয়ক্ষতি সামলাতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্য চাইবে মমতা সরকার।

No comments:
Post a Comment