দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৮৮ জন, যা একদিনের আক্রান্তের সংখ্যায় সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। দেশে গত একদিনে ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪৮ জন।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, দেশে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার মানুষ। মারা গেছেন ৩ হাজার ৫৮৩ জন।
দেশ জুড়ে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে পজিটিভ রয়েছেন ৬৬ হাজার ৩৩০ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪৮ হাজার ৫৩৪ জন।
দেশে এর আগে একদিনে এত কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়নি।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের হিসাবে আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হওয়ার হার বেড়ে ৪০ দশমিক ৯৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালেও এ হার ছিল ৪০ দশমিক ৩১ শতাংশ।
সংক্রমণ মোকাবেলায় দেওয়া বিধিনিষেধ শিথিল করার পর থেকে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। দেশে সংক্রমণের অন্যতম এ ‘হটস্পটে’ মৃতের সংখ্যাও প্রায় এক হাজার ৫০০র কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
আক্রান্তদের চিকিৎসায় বেসরকারি হাসপাতালগুলোর ৮০ শতাংশ শয্যার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা জানিয়েছে রাজ্যটির সরকার। বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার খরচ বেঁধে দেওয়ার কথাও বলেছে তারা।
বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় দেশে সোমবার থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে সীমিত আকারে বিমান চলাচল শুরু হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় টিকেটের দামের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে।
কোভিড-১৯ মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা পর্যালোচনায় শুক্রবার বিরোধীদলগুলোর একটি বৈঠক হওয়ারও কথা রয়েছে।
কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সোনিয়া গান্ধীর সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যদের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ও শিবসেনাপ্রধান উদ্ধভ ঠাকরেও থাকবেন বলে তাদের দলের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।
সরকারবিরোধী সব দলের শীর্ষ নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আমআদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল, বহুজন সমাজবাদী দলের প্রধান মায়াবতী ও সমাজবাদী দলের অখিলেশ যাদব বৈঠকে থাকছেন না।
জুনের প্রথম দিন থেকে যাত্রীবাহী ২০০টি ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত হওয়ায় শুক্রবার থেকে সুনির্দিষ্ট কিছু স্টেশনে সংরক্ষিত আসনের টিকিট বুকিং শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
ধাপে ধাপে আরও ট্রেন চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পিয়ুষ গয়াল।
পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ী ফেরাতে এখন দিল্লি ও অন্যান্য শহরে ২০টি বিশেষ ‘শ্রমিক’ ট্রেন চালু আছে।

No comments:
Post a Comment