সকাল শুরু হোক তোমার আলিঙ্গন ছুঁয়ে প্রিয়তমা। থাকুক ভালোবাসা।
ঠিক কবে তোমার পার্টনারকে মর্নিং কিস দিয়েছ, মনে পড়ে? অথচ ছোট্ট এই কাজটি তোমার সারাটা দিন করে দেবে একেবারে ভিন্ন। বিয়ের পর দাম্পত্য জীবনে একঘেঁয়েমি চলে এসেছে? সকালবেলা একটা ছোট্ট কিস এনে দিতে পারে ভালোবাসার অন্য মাত্রা।
প্রিয়জনের কাঁধে মাথা, চওড়া হাসি আর একটি সুপ্রভাত কিস। ছোট একটি কিস তোমাকে যেসব অনুভূতি দিতে পারবে, জানলে অবাক হবে। সঙ্গীর গায়ের ঘ্রাণ, হাসিমুখ, ছোট্ট নাকঘষা, উষ্ণ ঠোঁট, মৃদু নিঃশ্বাস আর কিছু না বলে ভালোবাসি জানিয়ে দেওয়া।
গবেষকেরা একই সুরে কথা বলছেন। মর্নিং কিস প্রাণবন্ত অ্যান্টিবডি তৈরি করে আমাদের শরীরে। মর্নিং কিস হতে পারে সারা দিনের প্রেরণা। এটি অক্সিটোকিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে, যা অন্যথায় ‘প্রেম হরমোন’ হিসেবে পরিচিত। শুধু কি তাই? মর্নিং কিস সুন্দর করে সম্পর্ককে। জমে থাকা অনুযোগগুলো মুছে দেয়। প্রেমে শরীরী ভাষার প্রয়োজন। শরীরী ভাষা জানিয়ে দেয় মনের গোপন ভাষাকে।
বিজ্ঞান বলছে, নিয়মিতভাবে কিস করে যে দম্পতি, তারা অন্যদের তুলনায় পাঁচ বছর দীর্ঘায়ু হয়। একটি চুমু কিছু সময়ের জন্য একাত্ম করে দেয় দুটি আত্মাকে। মেজাজকে রাখে চনমনে। পাশাপাশি রক্তচাপ কমায়। বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা বলে, ‘সঙ্গীর হাসিখুশি মুখ রোমাঞ্চিত করে মুহূর্ত’। প্রতিটি সকালের এই অনুভূতি বদলে দেয় জীবনযাত্রা। কিছু অসাধারণ স্বাস্থ্যসুবিধা রয়েছে মর্নিং কিসের। আসুন বেনিফিটগুলো জেনে নিই।
চুম্বন মস্তিষ্কের অভিবাদন সিস্টেমকে সক্রিয় করে।
আমাদের মেজাজ ভারসাম্যপূর্ণ রাখার জন্য এন্ডোজেনেসেড অপিওিড, ডোপামিন এবং অন্যান্য সহায়ক নিউরোহরমোনগুলোও মুক্তি দেয়।
স্ট্রেস হরমোন কমানোর মাধ্যমে মস্তিষ্কের চাপ নিরাময় করে।
চুম্বন অ্যাড্রেনিয়া এবং নরড্রালিনের মুক্তি দেয়, তোমার সেন্সকে করে সতর্ক।
চুম্বন হল স্নেহের শারীরিক বিনিময়, যেটা দৈহিক প্রভাবের বিরুদ্ধে ব্যক্তিকে বাফার করে।
সূত্র: রোদসী

No comments:
Post a Comment