নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ভারতে ছট পুজোর ইতিবৃত্ত কি? জানেন? ছট পুজো একমাত্র পুজো যার কোন উপাসনালয় লাগে না?
দেওয়ালির ছয় দিন পর এই উৎসব, ছট পুজো।ছট্ পূজা সূর্যদেব, মা অন্নপূর্ণা ও গঙ্গাদেবীর পূজা।উৎসবের আগের দিন দুপুর থেকেই আমরা দেখতে পাই অজস্র মানুষ ফল,ফুলের ডালা সাজিয়ে ঢাকবাদ্যি সহ রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলেছেন নদী বা সমুদ্রের দিকে। এটি একটি এমন পুজো যাতে পুরোহিত বা মন্দিরস্থল লাগে না।
লেখক শৈলজানন্দ সামন্তের ‘ছট্ পূজা’ শীর্ষক গ্রন্থ সূত্রে জানা যায় যে,
“ভারতবর্ষের হিন্দীভাষী হিন্দুদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পূজা ছট্ পূজা। ছট্ অর্থাৎ ছটা বা রশ্মির পূজা। এই রশ্মি সূর্য থেকেই পৃথিবীর বুকে আসে। সুতরাং এই পূজা আসলে সূর্যদেবেরই পূজা।”
কার্তিক মাসের অমাবস্যার পড়েই ছট্ ব্রত পালন করা হয়। এই পুজো মূলত: চারদিনের উৎসব। চতুর্থী থেকে শুরু হয়ে পঞ্চমী,ষষ্ঠী ও সপ্তমী হয়ে শেষ হয়। নতুন জামা কাপড় আর লোকসংগীতে মেতে উঠে এই উৎসব পালন করা হয়। কোথাও কোথাও বলা হয়েছে সূর্য আর ষষ্ঠী হলেন ভাই ও বোন, সেই কারণেই ছট্ বা ষষ্ঠীদেবীকে “ছোট্টী বা ছট্টী মাইয়া” বলা হয়।এই পূজার সঙ্গে জড়িত আছেন স্বয়ং সূর্যদেব, আছেন মা গঙ্গা এবং দেবী অন্নপূর্ণা। প্রথম দিনটিকে ‘নহায় খায়’ বলা হয়। এইদিন গঙ্গা স্নান করে মহিলারা একবারই খান ভাত ও লাউ সিদ্ধ।দ্বিতীয় দিন টিকে বলা হয়,”খর্না”।
এই দিন নির্জলা উপবাস করে সূর্যাস্তের পর সূর্যদেবতাকে অর্পণ করে পায়েস,ক্ষীর, পুরি,ঠেকুয়া, কলা বিতরণ করা হয়।বিবাহিতা মহিলারা একে অপরের সিঁতি তে গেরুয়া সিঁদুর লেপে দেয়। তৃতীয় দিন হল মূল দিন, ছট। এই দিনও নির্জলা উপবাস করে সন্ধ্যাবেলায় ডালাতে ঠেকুয়া,ফল,কলার ছড়া সাজিয়ে অর্পণ করে। এরপর বাড়িয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে ৫টি বেতের কাঠি দিয়ে ঢেকে “কোশি” পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। চতুর্থ দিন টি সব থেকে পবিত্র দিন।এই দিন দলে দলে ভক্ত চিনি ও আদা মুখে দিয়ে উপবাস ভঙ্গ করেন আনন্দের সাথে।
পি/ব
No comments:
Post a Comment