নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ২০১৮ সালের ২৫ ও ২৬ এপ্রিল ফ্রান্সে এন জি ও নিয়ে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে কিভাবে আল কায়েদার মত সংগঠন রাডিক্যালিসম তত্ত্ব ছড়ানোর কাজ চালায় বিভিন্ন দেশে। সেই বৈঠকে একটি আওয়াজ ওঠে-- নো মানি ফর টেরর। সম্প্রতি আনহাদ এনজিও জম্মু কাশ্মীরে পরিস্থিতি সরেজমিন তদন্তে যায়। সংস্থার কর্মকর্তা শবনম হাশমির নেতৃত্বে অনিরোধ কালা, রেবন্তী লুলা ও ডি সুজা তদন্ত ফেরত এসেই তাদের টার্গেট নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার শুরু করেন।
দিল্লির প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকে জানান, ৪০০ জন কাশ্মীরীদের সাথে কথা বলে বুঝতে পেরেছেন , ওখানকার অধিবাসীরা জঙ্গিদের দাপাদাপির সময় নাকি এত খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে ছিলেন না, যা বিজেপি সরকার জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের মধ্যে দিয়ে শুরু করেছে। প্রায় দেড় কোটি জন সংখ্যার মধ্যে মাত্র ৪০০ জন লোকের সাথে কথা বলে তারা সবটা বুঝে নিলেন। আর এখানেই শুরু বিতর্ক। এরকম তদন্তের ক্ষেত্রে স্যাম্পেল এরিয়া বড় হওয়া উচিৎ ছিল তা হয় নি। যদিও এব্যাপারে তাদের নির্দিষ্ট কোন ভাবনা না থাকায় এই এনজিও -র উদ্দেশ্য নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। প্রশ্ন উঠেছে এই সংগঠনের কার্যকারিতা নিয়েও।
এই সংগঠনের পিছনে কোন মাথা সংগঠন কাজ করছে সেই বিষয়ে সরকারের নজর রাখার জন্য ইতিমধ্যে দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে। ৫ আগস্ট উপত্যকার বিশেষ মর্যাদাসূচক ৩৭০ ও ৩৫এ সাংবিধানিক অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করার পর দুই মাস অতিক্রান্ত। বর্তমানে কেমন পরিস্থিতি সেখানে? রাজ্যকে ভেঙে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ নামে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার পরে কাশ্মীরবাসীর মতামত কী? সরেজমিন তদন্ত করতে জম্মু-কাশ্মীরে গিয়েছিলেন আনহাদ এনজিও সংস্থার কর্মকর্তা শবনম হাশমি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রতিনিধি দল।
শবনম হাশমির নেতৃত্বে এই প্রতিনিধি দল উপত্যকার হাল-হকিকত বুঝতে বহু কাশ্মীরি মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। জম্মু-কাশ্মীরে সরেজমিন তদন্ত করে তাঁরা কী অনুধাবন করলেন– তা জানাতে নয়াদিল্লির প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছিল। সেখানে শবনম হাশমি বলেন– ‘জম্মু ও কাশ্মীরে যদি সন্ত্রাসবাদ বৃদ্ধি পায়– তবে তাঁর জন্য দায়ী নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ। আমরা প্রায় ৪০০ জন কাশ্মীরি মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা
বলে জানতে পারি– কাশ্মীর ইস্যুতে মোদি-শাহ যে সমস্ত নীতি গ্রহণ করেছেন তাতে অধিকাংশ কাশ্মীরবাসীর মতভেদ রয়েছে।’ তাঁরা আরও জানিয়েছেন– উপত্যকা গত ৭০ বছরে পাকিস্তানি জঙ্গিদের কবলে যতটা খারাপ পরিস্থিতির শিকার হয়েছিল– সেখানে তার চেয়েও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করেছে মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার।
পি/ব
No comments:
Post a Comment