সুদেষ্ণা গোস্বামীঃ পাহাড়ের ঢালে যদি থাকতে ইচ্ছে করে তাহলে চিন্ডি চলুন। সেখানে লাভারস হিল পাহাড়ের উপরে নিরাপদ অরণ্য ।এটাই আবার উপত্যাকার গভীরে সূর্যাস্ত দর্শনের ভিউ পয়েন্ট পূব দিকে এক হাজার থেকে ১৫ হাজার ফুট নিচে ফুলের মত থোকা থোকাশহরের ঘরবাড়ি দারুন লাগে ।
শস্য শ্যামল উপত্যাকার মাঝখানে শহরটির নাম কারমগ। চিংড়ি থেকে গাড়িতে কার মুখ যেতে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট লাগে ওখানে প্রাচীনকালের সমলেশ্বর কামাক্ষা দেবীর মন্দির আছে।মন্দিরের স্থাপত্য এবং শিল্পকলার নিদর্শন হিমাচলে তো বটেই সারা ভারতে আর কোন মন্দিরে দেখা যাবে কিনা সন্দেহ। পাহাড়চূড়ায় মনোরম নৈসর্গ দর্শনের ভিউ পয়েন্ট হলো কুন্ডুধার।
ফেরার পথে চিংড়ি গ্রামে এক গোলাকার জলাশয় ধারে প্রাচীন দুর্গা মন্দির দেখে নেবেন। ওখান থেকে কিছু দূর গেলে অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্যের গ্রাম খড়কল। চারিদিকে পাহাড়ের ধাপে ধাপে ধান ও শাকসবজির ক্ষেত ঘরবাড়ি প্রকৃতির সঙ্গে চমৎকার দোল খাচ্ছে। এখানকার অধ্যা়ন শিবের মন্দির টি খুব সুন্দর।
মন্দির চত্বর থেকে মেঘমুক্ত আকাশে উঁচু শৃঙ্গ মালা আপনার চোখ জুড়িয়ে দেবে। তিন চার দিনের ছুটি কাটানোর জন্য এই স্থান যথেষ্ট। সিমলা থেকে ৭৮ কিমি, কালকা ১৭৭ কিমি, রামপুর ৯২ কিমি ও মান্ডি ১০০ কিমি। হিমাচল প্রদেশের এই গ্রামটি তে অদ্ভুত সুন্দর এক শান্ত পরিবেশ যা মন ছুঁয়ে যায়।
পি/ব
No comments:
Post a Comment