নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বিজেপির যুবমোর্চার রাজ্য নেতা ধ্রুব সাহা ও জেলা সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায় পুজোর সময় জেলের বাইরে থাকবেন, এমন নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না বিজেপির জেলা নেতৃত্ব।
মঙ্গলবার রামপুরহাট আদালতে তোলা হলে ধ্রুব সাহা অস্ত্র আইন মামলা ছাড়া সব মামলাতেই জামিন পেয়েছেন। তাই তাকে পুজোতে জেলের মধ্যে কাটাতে হবে। অন্যদিকে, সমস্ত মামলায় শর্ত সাপেক্ষে অতনু চট্টোপাধ্যায় জামিন পেলেও, ফের নতুন কোন মামলায় তাকে অভিযুক্ত করে জেলে ভরা হতে পারে, এমন আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে বিজেপির অন্দরে।
মঙ্গলবার সরকারি আইনজীবী উৎপল মুখোপাধ্যায় বলেন, অতনু চট্টোপাধ্যায় শর্ত সাপেক্ষে কিছু মামলায় জামিন পেয়েছেন। আবার কিছু মামলায় বিনা শর্তে জামিন পেয়েছেন। অন্যদিকে, অস্ত্র আইনে মামলা ছাড়া সব মামলাতেই জামিন পেয়েছেন ধ্রুব সাহা।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৫ জুন ময়ূরেশ্বরের ষাটপলসা গ্রামে তৃণমূলের কার্যালয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে ২৮ জন সহ আরও অনেকে বলে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ সূর্যদেব ভল্লা এবং অনন্ত মোহন মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। ওই ঘটনা ধ্রুব সাহার মস্তিষ্ক প্রসূত বলে পুলিশের দাবি। এছাড়াও গতবছর ময়ূরেশ্বরের একটি গোয়াল ঘরে গোমাংস রাখা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়।
তার পিছনেও ধৃত ধ্রুব সাহার ইন্ধন রয়েছে। ওই বছর ময়ূরেশ্বর থানার বেজা গ্রামে ধর্মীয় উকানিমূলক পোষ্টার পড়ে। তাতে লেখা ছিল মুসলিমদের নিয়ে হিন্দু প্রধান গ্রাম দখল করতে আসছে তৃণমূল। ওই পোষ্টার ধ্রুব সাহার নির্দেশে সাঁটানো হয়েছে। এরকম তিনটি মামলায় ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে নলহাটি থানার বানিওড় গ্রামে ঢোকার মুখে বিজেপির রাজ্য যুব মোর্চার সহ সভাপতি ধ্রুব সাহাকে গ্রেফতার করে ময়ূরেশ্বর থানার পুলিশ। তার পর থেকে তিনি জেল হেফাজতে আছেন।
অন্যদিকে, ১৬ সেপ্টেম্বর রাত্রে মল্লারপুর থানার কামরাঘাটের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায়কে। বিজেপির অভিযোগ, নানুরের রামকৃষ্ণপুর গ্রামে বিজেপি কর্মী স্বরুপ গড়াইয়ের খুনের প্রতিবাদে সিউরিতে জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে অবস্থানে বসেছিল দল। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন অতনু চট্টোপাধ্যায় এবং ধ্রুব সাহা। এরপরেই পুলিশ দুই নেতাকেই গ্রেফতার করে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা দেয়। মল্লারপুর বিস্ফোরণ কাণ্ডেও তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ।
পি/ব
No comments:
Post a Comment