প্রেস কার্ড নিউজ ডেস্ক ;
প্রনালিঃ
আপনি যে পরিমান চা করতে চান সেই অনুযায়ী একটি পাত্রে জল ফুটিয়ে নিয়ে পাত্রের ঢাকনা বন্ধ করে কিছুক্ষণ রেখে দিন। তারপর প্রতিটি কাপে ৪-৫ টি করে তুলসি পাতা রেখে তার মধ্যে গরম জল ঢেলে আবার কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেলো তুলসি চা। আপনি চাইলে এর সাথে মধু বা চিনি যোগ করতে পারেন। এর সাথে আরো যোগ করতে পারেন ২/৩ ফোঁটা লেবুর রস। চা কিভাবে খাবেন তা পুরোটাই আপনার টেস্ট-এর উপর নির্ভর। এতো গেল চা কি ভাবে তৈরি করবেন। এখন আসা যাক এর উপকারিতায়
উপকারিতাঃ
১। তুলসি চা মেটাবোলিজম সিস্টেম-কে উন্নত করতে সাহায্য করে এবং একই সাথে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি পোড়ায়।
২। তুলসি চা শরীরের স্বাভাবিক জৈব ফাংশন ঠিকঠাক রাখে এবং অতিরিক্ত স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। এটি স্নায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করে রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে এবং দেহে অতিরিক্ত চাপ হ্যান্ডেল করার ক্ষমতা তৈরি করে।
৩। অকাল বার্ধক্য নিয়ন্ত্রণ করেঃ অক্সিডেশন প্রসেস-কে স্লো করতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস সাহায্য করে থাকে এবং দেহকে ফ্রি রেডিকেলস-এর হাত থেকে রক্ষা করে। তুলসি গ্রিন টি এমনই সব অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস-এর ভান্ডার, যা দেহকে ফ্রি-রেডিকেলস থেকে রক্ষা করে এবং দেহে তারুণ্য বজায় রাখে দীর্ঘদিন এবং বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়।
৪। তুলসি একটি মুত্রবর্ধক যা কিডনির সমস্যায় খুবই কার্যকর। এটি একটি ভালো ডিটক্সিফায়ার যা কিডনির জন্য খুবই মুল্যবান। ইউরিক এসিড কিডনিতে পাথর জমার মূল উপাদান। এটি কিডনি দ্বারা শরীর থেকে বের হয়। তুলসি পাতা ইউরিক এসিড-কে শরীর থেকে পরিষ্কারভাবে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে যার কারণে কিডনিতে পাথর জমতে পারে না।
৫। অক্সিডেশন প্রসেস-এর যার কারণে দেহের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় অথবা টিস্যু ড্যামেজ হয়ে যায়, এগুলো ওরাল বা ব্রেস্ট ক্যান্সারের জন্য খুবই ইফেক্টিভ। আর এইসব অক্সিডেশন প্রসেস-কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে মূখ্য ভূমিকা পালন করে তুলসি গ্রিন টি। এটি ক্যান্সার কোষকে দমন করে নতুন রক্ত তৈরিতে সহায়তা করে।
পি/ব
No comments:
Post a Comment