খবরে বাধা, মারধোর কর্তব্যরত সাংবাদিককে - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, 31 August 2019

খবরে বাধা, মারধোর কর্তব্যরত সাংবাদিককে

1



দেবশ্রী মজুমদার:    তারাপীঠে কৌশিকী অমাবস্যায় আগত পূন্যার্থীদের উপর পুলিশী হামলার খবর করতে পুলিশের হাতে 'গণ পিটুনি' খেলেন ওই চিত্র সাংবাদিক ও তার সঙ্গী। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া সত্ত্বেও, তার ক্যামেরা কেড়ে নেওয়া হয়। রাতভর মেঝেতে বসিয়ে রেখে গালিগালাজ করা হয়। কর্তব্যরত পুলিশের একটাই কথা- সাংবাদিক মানি না।     



জানা গেছে,  রাত দেড়টা নাগাদ বীরভূমের তারাপীঠে দ্বারকা নদীর ঘাটে পূন্যার্থীদের উপর পুলিশের মারধোরের কভারেজ করতে গিয়ে তাঁদের মারধোর করে পুলিশ। ওই বৈদ্যুতিন মাধ্যমের চিত্র সাংবাদিক ভবানী প্রসাদ রায় ও তার  সঙ্গী রমেন বাগ্দীকে থানায় ধরে নিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ।  ঘটনায় অভিযুক্ত এক পুলিশ আধিকারিক ও এক সিভিক ভলান্টিয়ার। যারা তাদের  মারধরে করে রাতভর  থানার মেঝেতে ফেলে রাখে বলে অভিযোগ।



মারধোরের ঘটনায় রক্তাক্ত হয়ে গুরুতর জখম ওই সাংবাদিক ও তার সঙ্গীকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা করানো হয় । চিত্র সাংবাদিকের বাম হাতের কনুই লাঠি দিয়ে মেরে ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে ।   



 উল্লেখ্য, কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে বিগত তিনদিন ধরে পূন্যার্থীদের সমাগম হয়েছিল।তারাপীঠে । শুক্রবার রাতে তারাপীঠে দ্বারকা নদীর সেতু এলাকায় কয়েকজন পূন্যার্থীকে পুলিশ ও সিভিকভলান্টিয়ার মারধোর করছে এমন খবর আসার পর খবরের তাগিদে ঘটনা স্থলে ছুটে যান ওই দুই সাংবাদিক।     



 যেভাবে এক কনস্টেবল ও সিভিক পুলিশ তাদেরকে  টেনে হিঁচড়ে  আসামির ব্যবহার করে তারাপীঠ থানায় নিয়ে যায়, তা অত্যন্ত অমানবিক।থানার মধ্যেই ওই চিত্র সাংবাদিক ও তার সঙ্গীকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন । তাতে তার কনুই ফেটে রক্তাক্ত হয়ে যায়। সেখানে তার মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়।     



প্রশ্ন উঠেছে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা কে দেবে? পুলিশ যেখানে আক্রমণ কারী!   কর্মরত আধিকারিক দেবপ্রসাদ মন্ডল  ও এক সিভিক ভলান্টিয়ারের শাস্তির দাবি করেছেন আহত দুই সাংবাদিক। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে জেলার সমস্ত সাংবাদিক।  তাঁদের এক  প্রতিনিধি দল শীঘ্রই জেলা পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করবেন। ইতিমধ্যে তাঁরা পুলিশ সুপারের সাথে ফোনে কথা বলেছেন।  জেলা পুলিশ সুপার শ‍্যাম সিং ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।     




শনিবার রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন আহত ঐ সাংবাদিক। ঘটনার তীব্র সমালোচনা করা হয় বিভিন্ন মহল থেকে। বীরভূম জেলার সাংবাদিকরা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। বিষয়টি তাঁরা জেলা পুলিশ সুপারের নজরে আনেন।



পি/ব 

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad