পাহাড়ি টিলার একটি অংশ আগাছায় ভরা। তাতে নানা জাতের বুনো গাছপালা ছড়ানো। এরই একটি কোণে পাহাড়ি কলার ঝোপ। কলাগাছের মোচায় ঘুরে ঘুরে খাবার খুঁজে চলেছে একটি ছোট্ট পাখি। মাঝে মধ্যে তার সুমিষ্ট ডাক টিলার মায়ামমতাকে বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকখানি। এরা লম্বা ঠোঁটওয়ালা পাখি। লম্বা ঠোঁট অনেক সুবিধে দিয়েছে তাকে। এর ফলে এরা খুব সহজেই ফুলের ভেতরে থাকা মধু খেয়ে নেয়। তাদের প্রিয় ও প্রধান খাদ্য ফুলের মধু।
কলার মোচা, জবা কিংবা শিমুল মধু এদের প্রিয়। এ খাবারটির খোঁজে এরা প্রজাপতির মতো ফুলে ফুলে ছুটে বেড়ায়। পাহাড়ের কলাগাছের মোচা বা কলা ফুলের গুচ্ছগুচ্ছ অংশ আছে এমন স্থানগুলো তার খুবই প্রিয়। কারণ, এখানেই তার বহু প্রতীক্ষিত ফুলের মধু পাওয়া যায়। মধু আহরণের দৃশ্যটা মনোমুগ্ধকর। তবে মাঝে মধ্যে এরা ছোট্ট মাকড়শা বা পতঙ্গ দেখলে খেয়ে ফেলে। কলাবতী কিংবা বুনো অর্কিডের আশপাশে এদের মাঝে মধ্যে দেখা যায়।
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রখ্যাত পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক বলেন, এরা লম্বা চঞ্চু বিশিষ্ট ডোরাদেহী গায়ক পাখি। আকারে চড়ুই পাখির মতো। মাত্র ১৬ সেন্টিমিটার। এদের ঠোঁট শরীরের তুলনায় অনেক বড়। বাঁকানো ঠোঁটের জন্যই ফুলের মধু আহরণে অত্যাধিক পারদর্শী সে। এর শারীরিক বর্ণনা সম্পর্কে তিনি বলেন, পাখিটি ছোট হলেও শরীরজুড়ে রংয়ের বৈচিত্র্য। এদের দেহ জলপাই-বাদামি রংয়ের এবং সারা দেহে লম্বা কালচে দাগ। মাথা ও ডানা হলদে সবুজ। দেহতল সাদা এবং পা কমলা-হলুদ। এদের বাঁকানো লম্বা চঞ্চু কালচে-বাদামি। চোখ বাদামি রংয়ের।
-কে
No comments:
Post a Comment