রবিবার ভারতের সঙ্গে খেলা চলাকালীন পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের হাই তোলার ঘটনা নিয়ে এখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যঙ্গ, বিদ্রুপ থামেনি। ঘটনার এক সপ্তাহ পর এ বিষয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া দিলেন সরফরাজ। একটি সাক্ষাত্কারে পাক অধিনায়ক বলেন, “হাই তুলেছি। কোনও অপরাধ তো করিনি! এটা অত্যন্ত সাধারণ একটা ব্যাপার। যেটাকে ফলাও করে দেখানো হচ্ছে।” সরফরাজ ঠিকই বলেছেন। হাই তোলা অত্যন্ত সাধারণ একটা ব্যাপার। তবে এই সাধারণ হাই তোলার বেশ কয়েকটি আশ্চর্য উপকারী দিক রয়েছে, যেমন
১) হাই তুললে দু’ চোখের পাশের অশ্রুগ্রন্থির উপর চাপ পরে। ফলে অক্ষিগোলক জলে ভিজে গিয়ে আমাদের চোখ পরিষ্কার হয় এবং একই সঙ্গে আমাদের দৃষ্টি আরও স্বচ্ছ হয়ে যায়।
২) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ও অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি, হাই আমাদের শরীর আর মস্তিষ্কের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। গ্রীষ্মকালে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা শীতকালের তুলনায় অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই গ্রীষ্মকালে শীতকালের তুলনায় অনেক বেশি হাই ওঠে।
৩)) হাই তোলার ফলে মুখের ও বুকের মাংসপেশি অনেকটা প্রসারিত হয়। হাই তুললে দীর্ঘক্ষণের শরীরিক জড়তা বা আড়ষ্ঠতা মুহূর্তের মধ্যে উধাও হয়ে যায়।
৪) হাই তুললে শরীরে অনেক বেশি অক্সিজেন প্রবেশ করে। আমরা যখন হাই তুলি, তখন ফুসফুসে অনেকটা অক্সিজেন প্রবেশ করে আর ফুসফুস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড দ্রুত বেরিয়ে যায়। ফলে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের পরিমাণ এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যায়।
৫) গবেষণা করে দেখা গিয়েছে যে, হাই তুললে মস্তিষ্কের উত্তেজনা প্রশমিত হয়। হাই তোলার ফলে মস্তিষ্ক শিথিল হওয়ার পাশাপাশি মানসিক দক্ষতাও বৃদ্ধি পায়।
৬) গবেষকদের মতে, যখন উচ্চতার দ্রুত পরিবর্তন হতে থাকে, সেই সময় হাই তোলা কানের বায়ুর চাপের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাই তোলার ফলে আমাদের শরীরে, শিরায়-উপশিরায় অক্সিজেনের ঘাটতি দ্রুত পূরণ হয়।
পি/ব
No comments:
Post a Comment