বর্তমান সময়ে অল্প বয়সেই রোগ মানুষকে গ্রাস করতে শুরু করেছে। এর কারণ বর্তমান সময়ের খারাপ জীবনধারা। আজকাল বেশিরভাগ কাজ শুধুমাত্র ল্যাপটপ এবং মোবাইলে করা হয়, এমন পরিস্থিতিতে মানুষের শারীরিক পরিশ্রম নগণ্য হয়ে পড়েছে। এর কারণে স্থূলতা, কোলেস্টেরল, বিপি, সার্ভিকাল, থাইরয়েড, ডায়াবেটিস, জয়েন্টে ব্যথা ইত্যাদি যাবতীয় সমস্যা দেখা দেয়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, মাত্র 30 মিনিটের ব্যায়ামের মাধ্যমে এই সমস্ত সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আপনি যদি বাড়িতে ব্যায়ামের জন্য সময় বের করতে না পারেন, তাহলে আপনি জিমে যোগ দিতে পারেন। ঘরে না বসে জিমে ব্যায়াম করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়, জেনে নিন সেই সুবিধাগুলো সম্পর্কে-
1. জিমে আপনি একজন প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে যেকোনও ব্যায়াম করেন। এমন পরিস্থিতিতে, আপনার যদি ইতিমধ্যেই কোনও সমস্যা থাকে তবে আপনি জিম প্রশিক্ষকের কাছে এটি সম্পর্কে বলতে পারেন। আপনার সমস্যার কথা মাথায় রেখে আপনার প্রশিক্ষক আপনাকে ব্যায়াম করিয়ে দেবেন, যাতে আপনার সমস্যাও নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং আপনার কোনও শারীরিক সমস্যা না হয়।
2. যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য জিম একটি ভালো বিকল্প। গবেষণা অনুসারে, প্রাপ্তবয়স্করা যদি সপ্তাহে পাঁচ দিন প্রায় 30 মিনিট জিমে ব্যায়াম করেন তবে তারা অনেক সুবিধা পান। কারণ জিমে অনেক ধরণের ওয়ার্কআউট রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তারা প্রতিদিন 500 থেকে 3000 ক্যালরি পোড়াতে পারেন।
3. জিমে 30 মিনিটের জন্য ব্যায়াম হৃদরোগ এবং হার্ট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে। এটি শরীরকে শক্তিশালী ও নমনীয় করে তোলে। এছাড়াও, মানুষের সাথে সাক্ষাৎ ও মেলামেশা আপনার চিন্তাভাবনাকে ইতিবাচক করে তোলে।
4. জিমে যোগদানের পর ব্যায়াম আপনার রুটিনের একটি অংশ হয়ে ওঠে। যেখানে ঘরে থেকে অনেকটা সময় আমরা আরাম-আয়েশ অনুযায়ী অবহেলা করি। প্রতিদিনের ওয়ার্কআউট করার ফলে আমাদের মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন হরমোন তৈরি হয়। এ কারণে মানসিক চাপ কমে যায়।
5. আপনি যদি মানসিক এবং শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন, তাহলে আপনি আপনার সমস্ত কাজ ভালোভাবে করতে পারবেন। এভাবে রাতেও ভালো ঘুম হয়।আপনার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় ও স্মৃতিশক্তি শক্তিশালী হয়।
No comments:
Post a Comment