আমরা অনেকেই বাটার মিল্ক খেতে পছন্দ করি। তবে বেশিরভাগ সময়ই এটি গ্রীষ্মকালে খেতে পছন্দ করি। কারণ শীতকালে এটি খাওয়ার পর প্রায়ই গলা ব্যথা, সর্দি বা কাশির মতো সমস্যায় পড়তে হয়। কিন্তু কফ-ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে শীতকালে বাটারমিল্ক খাওয়া যেতেই পারে, তবে শীতের মরসুমে বাটার মিল্কের স্বাদ উপভোগ করতে এবং এর সুবিধা পেতে এটি খাওয়ার সময় কিছু বিশেষ বিষয় মাথায় রাখুন এবং সুস্থ থাকুন। জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে-
গ্রীষ্মকালে আপনি সন্ধ্যায় বাটারমিল্ক খান কিন্তু শীতকালে তা একেবারেই এইসময় খাবেন না।গ্রীষ্মকালে, লোকেরা সকালের খাবারে জিরা-বাটারমিল্ক বা মশলা বাটারমিল্কও খান, তবে শীতকালে তা করবেন না। কারণ সকালের খাবার সাধারণত সকাল ৮টায় শেষ হয় এবং তারপর আপনি অফিসে চলে যান। এমন পরিস্থিতিতে ঘরের বাইরে তাপমাত্রা কম থাকায় সর্দি-কাশির আশঙ্কা থাকে।
শীতকালে বাটার মিল্ক পান করার সঠিক উপায়
শীত মৌসুমে কখনই সাদামাটা বাটারমিল্ক ব্যবহার করবেন না। কারণ এই ঋতুতে গলা খুবই সংবেদনশীল থাকে। বায়ুমণ্ডল ঠাণ্ডা হওয়ার কারণে বাটারমিল্কে উপস্থিত মসৃণতা গলায় জমে যায়, যা খুসখুসে কাশির সৃষ্টি করে।
শীতকালে, সর্বদা সূর্যোদয়ের পরে বাটারমিল্ক পান করা উচিৎ। রোদে বসে বাটার মিল্ক খেতে পারলে ভালো হবে। এতে করে বাটার মিল্কের কারণে শরীরে যে উপকার হয়, তা বহুগুণ বেড়ে যায়।
শীতকালে বাটার মিল্ক খাওয়ার সময় এর সাথে গুড় খান। এতে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং শরীরে শীত-গরমের ভারসাম্য বজায় থাকে। কারণ গুড় গরম আর বাটার মিল্ক ঠান্ডা।
যদি এতে চিনি দেওয়া থাকে, তবে আর এর সাথে গুড় খাবেন না। তারপর জিরা, সেলারি, কালো লবণ এবং হিং দিয়ে মসলাযুক্ত বাটারমিল্ক খান। এতে করে আপনার ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং পরিপাকতন্ত্র খুব ভালোভাবে কাজ করতে শুরু করবে।
No comments:
Post a Comment