প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই চা পান করা হয়। কারো বাড়িতে গেলে চা দিয়েই আপ্যায়ন করা হয়ে থাকে। অনেক ধরনের চা পাওয়া যায় । আদা-এলাচ থেকে লেবু চা পর্যন্ত এখানে পান করা হয়। কিন্তু আপনি কি কখনো লবণযুক্ত চা পান করেছেন ?
১৫০ বছর আগে তুরস্ক থেকে আসা এই চা আজ নবাবদের শহর ভোপালের পরিচয়। এখানে পাওয়া লবণ চা সুলেমানি চা, শাম্বার চা এবং ঘুঙ্ঘটওয়ালি চা নামেও পরিচিত।
আসুন আপনাদের বলি এই চা তৈরির রেসিপি এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে।
কি কি লাগবে :
১ কাপ দুধ,
১/২ কাপ জল,
১ চা চামচ চিনি,
১/২ চা চামচ চা পাতা,
২ চিমটি লবণ,
১/৪ ইঞ্চি টুকরো আদা ।
কি করে তৈরি করবেন :
ভোপালের বিখ্যাত লবণ চা বানাতে প্রথমে একটি পাত্রে জল, চা পাতা, চিনি এবং স্ট্যান্ডিং লবন দিয়ে ফোটাতেে থাকুন। মনে রাখবেন কম আঁচে ভালো করে ফোটাতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, চা একটি তামার শাম্বারে ঢেলে অল্প আঁচে রান্না করা হয়। এই কারণে এর স্বাদ চার গুণ বেড়ে যায়। তবে তামার পাত্র না থাকলে সাধারণ পাত্রেও বানাতে পারেন।
চায়ের জল ফুটে উঠলে তাতে কুচানো আদা দিন। এবার এতে এক কাপ দুধ দিন। দুধ আগেই ফুটিয়ে রাখুন । চায়ের সাথে কখনই কাঁচা দুধ মেশানো উচিৎ নয়।
চা ফোটানোর সময় মাঝে মাঝে চামচ দিয়ে নাড়ুন। চায়ের উপরের বুদবুদগুলো বাদামী না হওয়া পর্যন্ত ফোটান । এর সুগন্ধ আসতে শুরু করলে বুঝবেন লবণ দিয়ে চা তৈরি।
গরম গরম কাপে ঢেলে ভোপালের বিখ্যাত লবণ চা উপভোগ করুন। জানিয়ে রাখি, নবাবদের আমলে দুধে মুশক, আম্বর, জাফরান ও চিনি মিশিয়ে তৈরি করা হতো।
বিখ্যাত সুলেমানি চা এখানে পাওয়া যায় :
আজকাল মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে অনেক জায়গায় লবণ চা পাওয়া যায়। তবে প্রথম দুটি হোটেল আহাদ হোটেল এবং ইউসুফ হোটেল এই চায়ের জন্য বিখ্যাত ছিল। এরপর শহরের লক্ষ্মী টকিজ, ইব্রাহিমপুরা, বুধওয়াড়া, মমতাজ হোটেল, প্যাটেল হোটেল ও রাজু টি স্টলে পাওয়া যেতে থাকে এই চা।
No comments:
Post a Comment