ইতিহাসে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে, যা শুনলে কেঁপে উঠবেন । এর মধ্যে একটি ঘটনা ঘটেছিল ২২ ডিসেম্বর ১৯৬৪-এ। ভারতের রামেশ্বরম দ্বীপের ধানুশকোডিতে যখন একটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এই ঘূর্ণিঝড়ে ৬৫৩ নম্বর ট্রেনটি ভেসে যায়, এতে ১১৫ জনের মৃত্যু হয়। ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে জানা যাক-
ধানুশকোডি ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। তখন এখানকার সৌন্দর্য দেখার মতো ছিল, কিন্তু প্রকৃতির অনুমোদন ছিল অন্য কিছু। প্রকৃতির বিপর্যয়ে যখন এই অপরূপ স্থানটি জনশূন্য হয়ে পড়ে। সেই সময় পামবান এবং ধনুশকোডির মধ্যে একটি রেললাইন ছিল যা ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ধ্বংস হয়ে যায়।
এই ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে বলা হয় যে, ১৯৬৪ সালের ১৭ ই ডিসেম্বর আন্দামান সাগরে একটি চাপ তৈরি হয়েছিল যা ১৯ ডিসেম্বর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। এর পর ২১ ডিসেম্বর এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ২৫০ থেকে ৩৫০ মাইল পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে পশ্চিম দিকে সরলরেখায় অগ্রসর হতে থাকে। এটি ২২-২৩ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ধানুশকোডিতে আঘাত হানে। তখন সাগরে ঢেউ ছিল প্রায় ২৪ ফুট উঁচু।
ট্রেন নম্বর ৬৫৩ সেই রাতে ১১:৫৫ মিনিটে পামবান রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায়। তখন কেউ জানত না যে ২২ ডিসেম্বরের রাতটি তার শেষ রাত। পামবান থেকে ট্রেনটি যখন ১১৫ জনকে নিয়ে এগিয়ে যায়, তখন ঘূর্ণিঝড়টি পথে বিপর্যয় সৃষ্টি করতে শুরু করে। এর পরে যখন ট্রেনটি ধনুশকোডি থেকে ২০০ বা ৩০০ গজ পিছনে ছিল।
এ সময় ট্রেনের চালক ঘূর্ণিঝড় থেকে ট্রেনটিকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও তিনি তাতে সফল হননি। তখন সাগরের ঢেউ ট্রেনে ধাক্কা খেয়ে ট্রেনটিকে নিয়ে যায়। ধারণা করা হয়, ওই সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতি ছিল ২৫০ থেকে ৩৫০ মাইল প্রতি ঘণ্টা। এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ট্রেনে উপস্থিত ১১৫ জনের সবাই মারা যায়। যেখানে এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ১৮০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
No comments:
Post a Comment