খারাপ জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং পর্দার সামনে একটানা কাজ করার ফলে চোখ দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তাই চোখের শক্তি বাড়াতে চশমা ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু আপনি যদি চশমা পরে সমস্যায় পড়েন এবং এর থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে কিছু ঘরোয়া প্রতিকার আপনাকে এতে সাহায্য করতে পারে। আপনি যদি এই জুসগুলি আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করেন, তবে আপনার চোখের চশমা কয়েক দিনের মধ্যে চলে যেতে পারে। জেনে নিন এই জুসগুলো কী এবং কীভাবে এগুলো আপনার দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে।
গাজরের জুস :
দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণ করার জন্য ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে যা চোখের রেটিনার স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। সকালের খাবারের সময় এই জুস পান করতে পারেন।
সবুজ পাতাযুক্ত শাকসবজি :
আপনি যদি দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে চান, তাহলে সবুজ শাকসবজি আপনাকে এতে সাহায্য করতে পারে। সবুজ শাকসবজি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, বিশেষ করে পালং শাক। চোখের স্বাস্থ্যের জন্য, আপনাকে অবশ্যই আপনার খাদ্যতালিকায় পালং শাকের জুস অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আসলে পালং শাকে ভিটামিন এ ছাড়াও ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং আয়রন পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে।
আমলকির জুস :
আমলকির জুস দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেও সহায়ক। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে কাজ করে। এই জুস পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী হয়।
কমলার জুস :
শীতকালে দিনে একবার কমলালেবুর রস পান করা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। কমলালেবুর রস শুধু শরীরে ভিটামিন-এ-এর ঘাটতি পূরণ করে না, এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে অনেক ধরনের ভাইরাল রোগকে দূরে সরিয়ে দেয়।
টমেটোর জুস :
চোখের স্বাস্থ্যের জন্য, আপনার খাদ্যতালিকায় টমেটোর জুস অন্তর্ভুক্ত করুন। এটি শুধুমাত্র ভিটামিন সি সমৃদ্ধ নয়, এটি ভিটামিন এ-এর একটি ভালো উৎসও বটে। আপনি চাইলে গাজরের জুসের সাথে টমেটোর জুস মিশিয়েও পান করতে পারেন, যাতে এটি আরও সুস্বাদু হয়। এই জুস পান করলে চোখ থেকে ঝাপসা ভাবের সমস্যা কমে যায়।
লেবুজল :
উজ্জ্বল চোখের জন্য লেবুজল দিয়ে আপনার দিন শুরু করুন। লেবুজল শুধু চোখের জন্যই ভালো নয় পেটের সমস্যাও দূরে রাখে। লেবুজল খেলে হজমের সমস্যাও ভালো হয়।
No comments:
Post a Comment