জ্বর, সর্দি, হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস ইত্যাদি সমস্যা সারাতে কাবাব চিনি খুবই উপকারী। এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই আসুন ।
কাবাব চিনি কি?
কাবাব চিনি যা শীতলচিনি বা পাইপার কিউবেবা নামেও পরিচিত। এর বীজ বা ফল দেখতে অবিকল গোলমরিচের মতো।
কোন অংশ ব্যবহার করা হয়?
কাবাব চিনির বীজের গুঁড়ো বানিয়ে ব্যবহার করা হয় । এর পাশাপাশি এর গাছের বাকল ও পাতাও অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে কার্যকর।
কাশি এবং সর্দি নিরাময় :
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এক গ্লাস হালকা গরম জলে মধু ও কাবাব চিনির গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন। ক্বাথ বানিয়েও কাবাব চিনি পান করতে পারেন।
ব্রঙ্কাইটিসে কার্যকরী :
কাবাব চিনির সাথে দারুচিনি মিশিয়ে একটি ক্বাথ তৈরি করে পান করুন। এটি ব্রঙ্কাইটিসে উপকারী হবে।
যোনি স্রাব :
এক গ্লাস জলে কাবাব চিনির গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এবার একটি স্প্রে বোতলে রেখে গোপনাঙ্গে লাগান। এটি যোনিপথের স্রাবের সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে।
পিরিয়ডের ব্যথা উপশম :
এই সময়ে ব্যথা এবং হরমোনের পরিবর্তনের কারণে, আপনাকে প্রায়ই বিরক্তির সম্মুখীন হতে হয়। এটি এড়াতে, ঈষদুষ্ণ জলের সাথে কাবাব চিনির গুঁড়ো পান করুন ।
মুখের গন্ধ দূর করে :
এক-চতুর্থাংশ চামচ কাবাব চিনির গুঁড়ো নিন এবং এই গুঁড়োটি এক কাপ জলে দারুচিনিসহ আধা ঘণ্টা রেখে দিন। এবার এই জল দিয়ে কুলুকুচি করে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
দাঁত ব্যথা উপশম :
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কুসুম গরম জলে ৫ থেকে ১০ ফোঁটা কাবাব চিনির তেল মিশিয়ে নিন। দিনে দুবার এই মিশ্রণটি দাঁতে লাগান।
ক্লান্তির চিকিৎসা :
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কাবাব চিনির গুঁড়োয় দারুচিনি, লেমনগ্রাস মিশিয়ে ২ কাপ জলে ফুটিয়ে নিন। জল অর্ধেক থেকে গেলে পান করুন। এটি দিনে দুবার পান করুন।
***গর্ভবতী মহিলা এবং শিশুদের কাবাব চিনি খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
No comments:
Post a Comment