ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ বথুয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু জানেন কি, এর বীজও অনেক রোগ থেকে মুক্তি দিতে সক্ষম? আসুন জেনে নেওয়া যাক এর উপকারিতাগুলো সম্পর্কে ।
রক্ত পিত্ত অপসারণ :
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বথুয়ার বীজ খান। ১ থেকে ২ গ্রাম বথুয়া বীজ নিন এবং গুঁড়ো করুন। এই গুঁড়ো মধুর সাথে খান।
জয়েন্টের ব্যথা উপশম :
২০০ মিলি জল নিন, এতে ১০ গ্রাম বথুয়া বীজ যোগ করুন এবং এটি ভালভাবে ফুটিয়ে নিন। জল ৫০ মি.লি মতো হলে তবে এটি সেদ্ধ করা বন্ধ করুন এবং সকালে এবং সন্ধ্যায় এটি পান করুন। এক মাস এভাবে করুন।
দাঁত ব্যথা উপশম :
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বথুয়ার বীজ ভুনা করে এর গুঁড়ো তৈরি করুন। এই পাউডার দাঁতে ঘষুন। এর পাশাপাশি বথুয়া পাতা সেদ্ধ করে জল পান করতে পারেন।
অনিয়মিত মাসিক :
সমপরিমাণ বথুয়া বীজ এবং শুকনো আদা মিশিয়ে গুঁড়ো তৈরি করুন। ১৫-২০ গ্রাম গুঁড়ো ৪০০ মিলি জলে ফুটিয়ে নিন। যখন জল ১০০ মি.লি অবশিষ্ট থাকবে , এটি ফোটানো বন্ধ করুন। দিনে দুবার এই জল পান করুন ।
লিভারের জন্য উপকারী :
এসব সমস্যা দূর করতে বথুয়ার বীজ খান। এটি হজম শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। এর পাশাপাশি এটি লিভারের চারপাশের শক্ত ভাবও দূর করে।
জন্ডিসের চিকিৎসা :
এ থেকে মুক্তি পেতে সকাল-সন্ধ্যা বথুয়া বীজ খান। এর পরিমাণ মাত্র ছয় গ্রাম রাখুন।
দাগ অপসারণ :
এর জন্য বথুয়ার বীজ পিষে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি সারা শরীরে লাগান। এটি ময়লা পরিষ্কার করে এবং দাগও সেরে যায়।
পেটের কৃমি মেরে ফেলে :
বথুয়ার বীজ খেলে পেটের কৃমি দূর হয়। শিশুদের পেটে কৃমি হলে এর বীজ পিষে তাতে সামান্য মধু মিশিয়ে চাটলে উপকার পাওয়া যাবে।
বথুয়া খাওয়ার আরও কিছু উপকারিতা :
বথুয়া নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করে, কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা করে, হজম শক্তি বাড়ায়, রক্ত পরিশোধন করে, চর্মরোগের চিকিৎসায় ভালো।
তবে আপনি যদি কোনও গুরুতর রোগে ভুগছেন তাহলে কেবলমাত্র ডাক্তারের পরামর্শে বথুয়ার বীজ খান।
No comments:
Post a Comment