ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ বৃষ্টির কারণে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। যার কারণে ঠাণ্ডা লাগার আশঙ্কাও বেড়েছে। তার উপর, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস একইভাবে পরিস্থিতির অবনতি করছে। এই মরসুমে আমরা প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি খেতে পাই যা আমাদের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। এই ঋতুতে আমাদের স্বাস্থ্যের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিৎ। এই ঋতুতে আমাদের সেই সমস্ত জিনিস বেশি খাওয়া উচিৎ যা আমাদের শরীরকে অভ্যন্তরীণ তাপ দেয়।
আমাদের সকলের রান্নাঘরে এমন অনেক জিনিস রয়েছে যা খেলে আমরা ঠান্ডা এড়াতে পারি। যা ঠান্ডার দিনে খুবই উপকারী। আসুন জেনে নিই এই দিনে কী কী জিনিস খাওয়া উচিৎ।
ডিম :- বেশির ভাগ মানুষই ঠান্ডায় ডিম খেতে পছন্দ করেন। ডিম প্রোটিনের সবচেয়ে ভালো উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়। শীতে শরীর গরম রাখতে ডিম খাওয়া যেতে পারে।কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমানো থেকে শুরু করে হৃদরোগ এবং চোখের জন্যও ডিম উপকারী বলে বিবেচিত হয়েছে।
আদা :- ঠান্ডা আবহাওয়ায় আদা চা পেলে আর কি চাই । প্রতিটি ঘরেই আদা পাওয়া যায়। এটি চা থেকে শুরু করে খাবার পর্যন্ত ব্যবহৃত হয়। এটি কেবল ঠান্ডা আবহাওয়ায় শরীরকে উষ্ণ রাখতেই সাহায্য করে না, এটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা হজমশক্তি ঠিক রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এর মাধ্যমে অনেক ধরনের রোগ নিরাময় হয়, যেমন ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, বাত, ঠাণ্ডা ও পেটব্যথা ইত্যাদি।
দুধ :- মানুষ প্রতিটি ঋতুতেই দুধ পান করলেও ঠান্ডায় দুধ পান করা খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। দুধ ভিটামিন বি১২ এবং ভিটামিন এ, প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। দুধ পান করলে যে কোনো মানুষের স্বাস্থ্য অটুট থাকে। ঠাণ্ডার মরসুমে দুধ রোগ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে পারে।
স্যুপ :- ঠাণ্ডায় গরম স্যুপ খেলে শুধু ঠাণ্ডা থেকেই আরাম পাওয়া যায় না, অনেক ধরনের সবজি মিশিয়ে তৈরি স্যুপ পান করলে স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। অভ্যন্তরীণ তাপ দেওয়ার পাশাপাশি এটি শরীরে পুষ্টি যোগায়। ঠাণ্ডা লাগা , সর্দি-কাশি,দুর্বলতা, সহজপাচ্য, যাদের ক্ষিদে কমে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষিদে বাড়াতেও এটি সাহায্য করে।
শুকনো ফল :- ঠান্ডায় শুকনো ফল খাওয়াও উপকারী। এগুলি ঠান্ডা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। গুড় ও ঘি-এর সাথে শুকনো ফল মিশিয়ে এর লাড্ডু তৈরি করে খেলে ঠাণ্ডায় বেশি উপকার পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment