ওমিক্রনের হুমকির মধ্যে, দেশে আবারও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এদিকে হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুর সরকারি স্কুলে ২৩ জন শিশু করোনা পজিটিভ আসার পর আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বিলাসপুর, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় দেলাগে, একসঙ্গে ২৩ শিশুর করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। সমস্ত সংক্রামিত শিশুদের বাড়িতে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
বিলাসপুরের চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ প্রবীণ কুমার চৌধুরীও স্কুল পরিদর্শন করেছেন। তিনি শিক্ষার্থীদের এবং শিক্ষকদের পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি সংক্রামিত হওয়ার ক্ষেত্রে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে সে সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য দেন। চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ প্রবীন চৌধুরী জানান, তিনি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্কুল ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন। সমস্ত সংক্রামিত শিশুদের বাড়িতে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। প্রতিটি পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছেন তিনি।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার একটি আবাসিক স্কুলে (নবোদয় বিদ্যালয়) অন্তত ২৯ জন শিশুর শরীরে থাবা বসিয়েছে করোনা, যার পরে স্কুল সহ আশেপাশের এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। একজন আধিকারিক জানিয়েছেন যে, নদিয়া জেলার কল্যাণীর জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের নবম এবং দশম শ্রেনীর ২৯ জন পড়ুয়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ১৩ জন ছেলে এবং ১৬ জন মেয়ে। এরপর শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং তাদের বাড়িতে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
কোভিড -১৯ পজিটিভ ২৯ জন শিক্ষার্থীকে হোম কোয়ারেন্টাইনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, কারণ তাদের কাশি এবং সর্দির হালকা লক্ষণ রয়েছে। কল্যাণী সাব-ডিভিশনাল অফিসার (এসডিও) হীরক মন্ডল বলেছেন যে, স্কুলের অন্যান্য শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদেরও করোনভাইরাস পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং সবাইকে আইসোলেট করা হয়েছে।
এদিকে দেশ জুড়ে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৩৬, যদিও এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১০৪ জন। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলে ১৬ টি স্থানে ওমিক্রন থাবা বসিয়েছে।
No comments:
Post a Comment