ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির কারণে বয়স্কদের মধ্যে গাউট রোগ খুবই সাধারণ ব্যাপার । আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে অনেক শারীরিক সমস্যা হতে পারে। সাধারণত কিডনি ইউরিক অ্যাসিড ফিল্টার করে, কিন্তু কখনও কখনও কিডনি এটি ফিল্টার করতে অক্ষম হয়। যার কারণে ইউরিক এসিড স্ফটিক আকারে ভেঙে হাড়ের মধ্যে জমা হতে থাকে, যার কারণে গাউট রোগ হয়।
শীতের সবজি ফুলকপি স্বাদের কারণে সারা বিশ্বে বিখ্যাত। ফুলকপি শুধু সবজি তৈরিতেই ব্যবহৃত হয় না, পরোটা ও পকোড়া তৈরিতেও এর বিশেষ স্থান রয়েছে। আসলে ফুলকপি তার বিশেষ গুণের কারণে খুবই উপকারী। তবে ফুলকপি খাওয়ার কিছু নেতিবাচক প্রভাবও হতে পারে, বিশেষ করে যদি এটি অতিরিক্ত খাওয়া হয়।
যেহেতু ফুলকপিতে পিউরিন বেশি থাকে, তাই গাউট রোগীদের ফুলকপি খাওয়া নিষিদ্ধ। ইউরিক অ্যাসিড হল রক্তে উপস্থিত এক ধরনের রাসায়নিক যা শরীরে পিউরিন নামক প্রোটিনের ভাঙনের ফলে তৈরি হয়। এছাড়াও যে মহিলারা তাদের শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন তাদের ফুলকপির মতো গ্যাস তৈরিকারী খাবার থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ফুলকপির অপকারিতা:
ফুলকপিতে পিউরিনের পরিমাণ বেশি, কিডনিতে পাথর হলে ফুলকপি খাওয়া একেবারেই উচিৎ নয়। এ ছাড়া এটি বেশি পরিমাণে খেলেও কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। এটি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বাড়তে পারে। যেখানে ফুলকপিতে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি। এটি বেশি খেলে শরীরের রক্ত ধীরে ধীরে ঘন হতে থাকে।
No comments:
Post a Comment