আমরা শুনেছি, রবিবার বা সোমবার, প্রতিদিন ডিম খান। কিন্তু কোন ডিম খাবেন, তা আজ পর্যন্ত কেউ বলেনি। হ্যাঁ, বাজারে অনেক ধরনের ডিম পাওয়া যায়, কিছু সাদা, কিছু হলুদ, এমনকি কালো রঙের ডিমও বাজারে পাওয়া যায়। এর মধ্যে কোনটি সবচেয়ে উপকারী? সাদা এবং কালো ডিমের মধ্যে পার্থক্য কী? ঠান্ডার দিনে কোন ডিম খাওয়া উচিৎ? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ডিমের সাদা অংশে উপস্থিত পুষ্টিগুণ -
একটি ডিমে ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৫ গ্রাম চর্বি এবং ০.৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট সহ ৭৮ ক্যালোরি থাকে। শুধুমাত্র ডিমের সাদা অংশেই ১৭ ক্যালরি থাকে, যার মধ্যে ৩.৬ গ্রাম প্রোটিন, ০.১ গ্রাম চর্বি এবং ০.২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। ডিমের সাদা অংশে বি১২, বায়োটিন, থায়ামিন এবং সেলেনিয়াম থাকে।
কালো ডিমের পুষ্টিগুণ -
কালো ডিম বা কড়কনাথ ডিমে সাধারণ ডিমের চেয়ে বেশি পুষ্টি থাকে। এতে অন্যান্য মুরগির ডিমের তুলনায় অনেক বেশি প্রোটিন রয়েছে। এতে ভিটামিন-বি-১, বি-২, বি-৬, বি-১২, সি, ই, নিয়াসিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং হিমোগ্লোবিন প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এতে কার্নোসিন নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে।
কড়কনাথ মুরগি থেকে কালো ডিম পাওয়া যায়। এই মুরগির রক্ত, হাড় ও পুরো শরীর কালো। এটি ভারতে শুধুমাত্র মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়া এবং আলীরাজপুরে পাওয়া যায়।
সাদা ডিম খাওয়ার উপকারিতা -
ডিমের সাদা অংশ প্রোটিনের পাওয়ার হাউস। এটি খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে যা শরীর থেকে ক্লান্তি দূর করে। বিপি ও কোলেস্টেরলের রোগীদের ডিমের সাদা অংশ খাওয়া উচিৎ। সেই সঙ্গে ডিমের হলুদ অংশে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে। তাই অনেকেই এটি খাওয়া এড়িয়ে যান।
কালো ডিমের উপকারিতা -
শীতকালে কালো ডিম খেলে ঠান্ডা লাগা , সর্দি-কাশি হয় না। এছাড়া এটি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়। এই ডিম ত্বকের জন্যও উপকারী। এটি ত্বক থেকে ফ্রি র্যাডিক্যালস দূর করতে সাহায্য করে।
No comments:
Post a Comment