শরীরের শক্তি বাড়াতে কাজ করে প্রাকৃতিক পানীয় - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, 8 December 2021

শরীরের শক্তি বাড়াতে কাজ করে প্রাকৃতিক পানীয়


 প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিংকস:

 শরীরে এনার্জি দেওয়ার নামে এমন অনেক ঠান্ডা পানীয় বাজারে পাওয়া যায় যা শরীরের উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি করে।  এটা জেনেও এগুলো মানুষ পান  করে।  কিন্তু শরীর সুস্থ রাখতে কার্বনেটেড পানীয়ের পরিবর্তে ঠান্ডা পানীয় প্রয়োজন। প্রাকৃতিক পানীয় শুধুমাত্র স্বাদে পরিপূর্ণ নয়, এগুলি শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতেও কাজ করে।  যার দ্বারা আমরা সতেজ ভাব অনুভব করি।  বেশিরভাগ প্রাকৃতিক পানীয়ের বিশেষত্ব হলো এগুলো স্বাদযুক্ত ও প্রক্রিয়াজাত পানীয়ের মতো শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না এবং বেশ স্বাস্থ্যকর।

 পুষ্টিবিদ লাভনীত বাত্রার মতে, প্রাকৃতিক পানীয় শরীরের শক্তি বাড়াতে কাজ করে।  তিনি তার একটি ইন্সটা পোস্টে পাঁচটি প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিংক সম্পর্কে তথ্যও শেয়ার করেছেন, যা রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং শরীরকে শক্তিতে পূর্ণ করে। 

 আসুন জেনে নিই সেই প্রাকৃতিক পানীয়গুলি সম্পর্কে -

  ডাবের জল - 

 ডাবের জল সেরা প্রাকৃতিক স্বাস্থ্য পানীয় হিসাবে বিবেচিত হয়।  বেশি ওয়ার্কআউট বা দৌড়াদৌড়ি বা অন্য কোনো কারণে শরীরে ক্লান্তি অনুভূত হলে ডাবের জল  পান করলে ক্লান্তি চলে যায়।  এতে ৯০ শতাংশের বেশি জল থাকতে পারে তবে এটি খনিজ সমৃদ্ধ।  এটি প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি এবং ১০ গুণ বেশি পটাসিয়াম রয়েছে।

 জলজিরা – 

 আপনি যদি নিজেকে সতেজ করতে চান, তাহলে জলজিরা হতে পারে একটি নিখুঁত প্রাকৃতিক শক্তি বৃদ্ধিকারী স্বাস্থ্য পানীয়।জিরা ভারতীয় রান্নাঘরের একটি গুরুত্বপূর্ণ মশলা।  এটি শরীরের জন্য খুবই উপকারী।  এটি আমাদের হজম প্রক্রিয়ার উন্নতিতে খুবই সহায়ক।  এতে উপস্থিত উপাদানগুলি পেটের সমস্যার  ক্ষেত্রে অনেক উপকার দেয়।  তবে সীমিত পরিমাণে জলজিরা পান করা সবসময়ই ভালো।

 আখের রস -

 আখের রস প্রাকৃতিকভাবে একটি দুর্দান্ত শক্তি বৃদ্ধিকারী স্বাস্থ্য পানীয়।  গ্রীষ্মকালে আখের রস পান করা খুবই উপকারী।  এটি আয়রন, প্রোটিন, পটাসিয়াম এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে সমৃদ্ধ যা একটি নিখুঁত স্বাস্থ্য পানীয়ের জন্য প্রয়োজনীয় । জলশূন্যতা ও ক্লান্তি দূর করতে আখের রস কার্যকর।

  কম্বুচা - 

কম্বুচা মূলত একটি গাঁজানো চা।  এর অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে।  এতে  ভিটামিন বি , গ্লুকুরোনিক অ্যাসিড এবং উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পলিফেনল রয়েছে।  এতে রয়েছে প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া এবং অ্যাসিটিক অ্যাসিড যা আমাদের শরীরের শক্তি বাড়াতে কাজ করে।

 ছাতু -

 ছাতুকে 'গরীব মানুষের' প্রোটিন হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এর  মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে।  এতে রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ।  এতে অল্প পরিমাণে সোডিয়ামও রয়েছে।  এটি কেবল শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করে না এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখতেও সহায়তা করে।  এই কারণেই গ্রীষ্মকালে ছাতু খাওয়া হয়।  এটি অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলিকে শিথিল করে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad