পশ্চিমবঙ্গের কাটোয়ায় অবাঞ্ছিত প্রেমের এক অদ্ভুত ঘটনা সামনে এসেছে। বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর প্রেমিকা প্রথমে তার গালে চুমু খায়। এরপর শাটার বন্দুক থেকে একটি গুলি করে। ঘটনাটি বুধবার কাটোয়ার সার্কাস ময়দান এলাকার। পুলিশ সূত্রে খবর, রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাটোয়া সার্কাস ময়দানের একটি গলিতে প্রেমিককে ডেকে আনেন মনীষা খাতুন। কিছুক্ষণ কথা বললেন। সেখানে কথা বলে বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন প্রেমিক। এরপর প্রেমিকা তাকে পৃথিবী থেকে দূরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রেমিকের গালে চুমু খেতে গিয়ে গুলি করে। এ ঘটনার পর পুরো এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কাটোয়ার কেসিয়া মাঠপাড়ার বাসিন্দা লাল চাঁদ শেখের সঙ্গে প্রায় তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল বাগানপাড়ার মনীষা খাতুনের। সূত্রের খবর, যৌতুকের দাবী পূরণ না হওয়ায় প্রেমিক লালচাঁদ বিয়েতে রাজি হননি। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
লালচাঁদ বলেছিলেন যে তার প্রেমিকার সঙ্গে অন্য কারও সম্পর্ক ছিল, তবে তিনি সম্পর্ক বিচ্ছেদ করেছিলেন। এরপর বছরখানেক আগে কাটোয়া ছেড়ে চলে যায় বান্ধবী। এখন তিনি ঝাড়খণ্ডে থাকতে শুরু করেছিলেন।তবে মঙ্গলবার রাতে ঝাড়খণ্ড থেকে কাটোয়ার বাড়িতে ফিরেছিলেন মনীষা। প্রেমিক লালচাঁদের অভিযোগ, বুধবার রাত ৮.৩০ মিনিটে মনীষা তাকে সার্কাস ময়দানের একটি গলিতে দেখা করতে বলে। সেখানেই পরিকল্পিতভাবে গুলি চালানো হয়। গুলিটি তার প্রেমিকের জ্যাকেটে লেগে বেরিয়ে যায়। লালচাঁদ অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচে। এর মধ্যেই বান্ধবী নিখোঁজ হয়ে যায়।
গুলির শব্দে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে কাটোয়া থানার পুলিশ গিয়ে প্রেমিক লাল চাঁদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। বর্তমানে শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে মেয়ের পরিবারের দাবী, প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাননি মনীষা। বরং লালচাঁদ তাকে জোর করে। লালচাঁদের কাছে বন্দুক ছিল। কোনওমতে সেখান থেকে গুলি বেরিয়ে যায়। এদিকে অভিযুক্ত মনীষা খাতুনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে কাটোয়া থানার পুলিশ। এ ছাড়া মনীষা কীভাবে বন্দুকটি পেল, তার সঙ্গে অন্য কেউ ছিল কি না এবং কেন তাকে গুলি করেছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
No comments:
Post a Comment