অভিভাবকরা অল্প বয়সেও তাদের সন্তানদের উঁচু উচ্চতায় দেখতে চান। সন্তানদের লম্বা উচ্চতার আকাঙ্ক্ষায় বাবা-মা ভুলে যান যে বয়স অনুযায়ী সন্তানদের উচ্চতা বাড়ে।
লম্বা উচ্চতা ব্যক্তিত্ব বাড়ায়, লম্বা উচ্চতার উন্মাদনা ছোটবেলা থেকেই শিশুদের ওপর মাথায় চড়ে বসে। শিশুরা ছোটবেলায় তাদের বাবা-মায়ের মতো লম্বা হতে চায়। তবে শিশুদের স্বল্প উচ্চতার জন্য তাদের অভিভাবকরা খুবই চিন্তিত থাকেন।
জন্মের এক বছর পরই সন্তানের উচ্চতা নিয়ে মা-বাবা উদ্বিগ্ন হতে শুরু করেন। এমনকি শিশুর বৃদ্ধি ঠিকঠাক হওয়ার পরও, অভিভাবকরা প্রায়শই শিশুদের উচ্চতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন উপায়ে তাদের খাদ্যের উপর জোর দেন। জিন এবং খাদ্য শিশুদের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী।
বাচ্চাদের সঠিক উচ্চতা নির্ণয়ের সূত্র কি জানেন? আসুন জেনে নেই শিশুদের বয়স অনুযায়ী উচ্চতা কত হওয়া উচিৎ?
প্রথম বছরে শিশুর উচ্চতা: শিশুরা সাধারণত তাদের জীবনের প্রথম বছরে গড়ে ১০ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। দশ ইঞ্চি বড় হওয়ার পর শিশুর উচ্চতা নির্ভর করে তার জিন এবং খাদ্যাভ্যাসের ওপর।
জিন অনুযায়ী শিশুর উচ্চতা কত হওয়া উচিৎ : ছেলের উচ্চতা অনুমান: যদি মায়ের দৈর্ঘ্য ১৫০ সেমি এবং পিতার উচ্চতা ১৭০সেমি হয়, তাহলে এই দুটির যোগফল ৩২০সেমি।
যদি ৩২০ এর সাথে ১৩ সেন্টিমিটার যোগ করেন, তাহলে এটি ৩৩৩ সেন্টিমিটার হবে। এখন এই মোটকে দুই দ্বারা ভাগ করলে, ছেলেটির আনুমানিক উচ্চতা ১৬৬.৫ সেমি হওয়া উচিৎ।
মেয়ের উচ্চতা অনুমান : মেয়ের আনুমানিক উচ্চতা অনুমান করতে, পিতামাতার মোট উচ্চতা থেকে ১৩ সেন্টিমিটার বিয়োগ করুন এবং অবশিষ্ট সংখ্যাটিকে দুই দ্বারা ভাগ করুন, তারপর মেয়েটির উচ্চতা ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে।
অন্য উপায়: একটি দুই বছর বয়সী পুরুষ শিশুর উচ্চতা একটি প্রাপ্তবয়স্ক শিশুর উচ্চতার দ্বিগুণ হওয়া উচিৎ। যেখানে ১৮ মাস বয়সী মেয়েটি যদি আড়াই ফুট হয়, তবে ১৪-১৫ বছরে তার উচ্চতা ৫ ফুট হওয়া উচিৎ।
শিশুর উচ্চতা না বাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ: জিন, বাবা-মা, খাদ্যাভ্যাস, পরিবেশ শিশুর উচ্চতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিশুদের উচ্চতা প্রত্যাশা অনুযায়ী না বাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
No comments:
Post a Comment