আমরা অনেকেই তামার পাত্রে রাখা জল পান করতে দেখেছি কারণ তামার পাত্রে রাখা জল পান করা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এমনকি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও সারারাত তামার পাত্রে রাখা জল পান করার পরামর্শ দেন।
যদি সেই তামার পাত্রে একটি রুপোর কয়েন সারারাত জলের সাথে রেখে সকালে পান করলে স্বাস্থ্যের জন্য বিস্ময়কর কাজ হতে পারে। ভাবছেন কীভাবে? আসুন দেখে নেওয়া যাক
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, রৌপ্য এবং তামায় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই কারণেই ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করতে কিছু জল ফিল্টার মেশিনে রূপা ব্যবহার করা হয়।
তদ্ব্যতীত, জীবাণুগুলি রূপোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয় না। যদিও এটি আয়ুর্বেদ দ্বারা স্বীকৃত। অতি সম্প্রতি, তামা এবং রূপার পাত্রে সংরক্ষণ করা হলে ই. কোলি এবং সালমোনেলার মতো ব্যাকটেরিয়া অদৃশ্য হয়ে যায় বলে দাবির সত্যতা পরীক্ষা করার জন্য নিয়ন্ত্রিত অবস্থার অধীনে গবেষণা চালানো হয়েছিল। সুতরাং, উভয়ই আপনাকে নিরাপদ পানীয় জল সরবরাহ করতে জীবাণুনাশক হিসাবে কাজ করে তা বলাই বাহুল্য।
উপকারিতা: বাত, পিত্ত এবং কফ এই তিনটি দোষের ভারসাম্য বজায় রাখে। যার ভারসাম্যহীনতার কারণে শরীরের সমস্যা হয়।
সব ধরনের পেটের সমস্যায় উপকারী। যেমন পেটে ব্যথা, গ্যাস, অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি। এটি পেট থেকে অন্ত্রের ময়লা পরিষ্কার করতেও সহায়ক।
এই জল পান করলে রাগ কমে। মন শান্ত থাকে এবং মানসিক চাপ উপশম হয়। এই জল ব্যবহার স্মৃতিশক্তিকে শক্তিশালী করে এবং মনকে শাণিত করে।
শরীরকে অভ্যন্তরীণভাবে পরিষ্কার করে। এছাড়া লিভার ও কিডনিকে সুস্থ রাখে। এই জল রক্ত পরিশোধন ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। শরীরে শীতলতা বজায় রাখে এবং দেহে কোষ তৈরি করে।
এই জল ফোঁড়া, ব্রণ, এবং অন্যান্য চর্মরোগ বৃদ্ধি পেতে দেয় না। মুখের সৌন্দর্য বাড়ায়। ত্বক পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল দেখায়। সবসময় তরুণ দেখায়।
এটি অতিরিক্ত চর্বি কমাতেও অত্যন্ত সহায়ক বলে প্রমাণিত হয়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং এটি থাইরয়েডের সমস্যা দূর করতে সহায়ক। শুধু তাই নয়, এই জল পান করলে খারাপ কোলেস্টেরল কমে এবং হার্ট সুস্থ থাকে।
ইউরিক অ্যাসিড কমায় এবং বাত এবং জয়েন্টগুলিতে প্রদাহজনিত ব্যথা নিরাময় করে। শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্ষত দ্রুত নিরাময়ে সাহায্য করে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে না।
সঠিক উপায়: প্রথমে একটি তামার পাত্র নিয়ে তাতে জল ভরে নিন। এবার এতে একটি রুপোর কয়েন দিন এবং সারারাত ঢেকে রাখুন। সকালে যতটা পারেন এই জল ধীরে ধীরে পান করুন।
No comments:
Post a Comment