কিডনি আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে। কিডনির প্রধান কাজ হল রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ এবং অতিরিক্ত তরল ফিল্টার করে রক্ত পরিষ্কার করা এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করা।
একটি সুস্থ কিডনি একটি সুস্থ শরীর গঠনে অবদান রাখে। আমাদের লাইফস্টাইল এবং ডায়েট আমাদের কিডনির উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
রক্তচাপ এবং সুগারের মতো নির্দিষ্ট কিছু রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা, যারা বেশি ওষুধ খান, তাদের কিডনির ক্ষতি হওয়ার প্রবণতা বেশি, তাই সময়মতো তাদের কিডনি পরীক্ষা করানো দরকার।
কিডনির সমস্যা তাড়াতাড়ি ধরা পড়লে কিডনির সমস্যা এড়ানো যায়। কিডনি পরীক্ষা করতে বছরে একবার ডাক্তারি পরীক্ষা করান ভালো।
যখন কিডনি ফেইলিওর হয়, তখন এর লক্ষণ শরীরে দেখা দিতে শুরু করে। আসুন জেনে নিই শরীরে কিডনি বিকল হওয়ার লক্ষণগুলো কীকী।
গোড়ালি ফোলা: কিডনিতে কিছু ত্রুটি দেখা দিলে শরীরে সোডিয়াম তৈরি হতে থাকে। এই সোডিয়াম গোড়ালি ফুলে যায়। কিডনির সমস্যার কারণেও চোখ ও মুখ ফোলা দেখা যায়। কিডনির কারণে সবচেয়ে বেশি ফোলা হয় হাত-পা, গোড়ালি ও পায়ের পাতায়।
ক্লান্তি এবং দুর্বলতা: প্রায়ই ক্লান্তি বা দুর্বলতা বোধ করলে, কিডনির সমস্যা হতে পারে। কিডনি ফেইলিউরের কারণে রক্তে টক্সিন জমা হতে শুরু করে, যা শরীরকে দুর্বল করে এবং ক্লান্তির দিকে নিয়ে যায়।
ক্ষিদে না লাগা: শরীরে টক্সিন এবং বর্জ্য জমা হওয়ার ফলে ক্ষিদে কমে যায় যা ওজন কমতে শুরু হয়। ক্ষিদে কমে যাওয়ার কারণে বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে।
অতিরিক্ত প্রস্রাব হওয়া : একজন সুস্থ ব্যক্তির দিনে ৬ থেকে ১০ বার প্রস্রাব হয়, অত্যধিক প্রস্রাব কিডনি ব্যর্থতার লক্ষণ হতে পারে। কিডনির সমস্যার কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়।
কারোর আবার প্রস্রাবে রক্তও থাকতে পারে। কিডনি ফেইলিউরের কারণে রক্তের কোষগুলো প্রস্রাবে বেরিয়ে যায়।
ত্বকের ক্ষতি: শুষ্ক এবং চুলকানি ত্বক কিডনি রোগের লক্ষণ হতে পারে। কিডনি ফেইলিউরের কারণে কিডনি শরীর থেকে টক্সিন বের করতে পারে না এবং তা রক্তে জমতে শুরু করে, যার ফলে ত্বকে চুলকানি, শুষ্কতা এবং দুর্গন্ধ হতে পারে।
No comments:
Post a Comment