করোনা ২০১৯ সাল থেকে বিশ্বকে ধ্বংস করেছে। এই মহামারী বিশ্বকে বন্দী থাকতে বাধ্য করেছিল। এখন আবারও এর নতুন রূপ তোলপাড় শুরু করেছে। এরই মধ্যে আবার এখন পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে নতুন ঝামেলা। মহাকাশের চেয়ে ৩৩০ মিটার বড় গ্রহাণু, যার নাম Nereus, পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে। এই গ্রহাণুটি আইফেল টাওয়ারের চেয়েও বড়। বলা হচ্ছে এই গ্রহাণুটি প্রতি সেকেন্ডে ৪ মাইল বেগে পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে। এটি ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে পৃথিবীর কক্ষপথে আঘাত হানবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নাসার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহে এত বড় গ্রহাণু পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে, যা ডেকে আনতে পারে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ। নাসার করা হিসাব অনুযায়ী, আগামী সপ্তাহের মধ্যে এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর কক্ষপথে আঘাত হানবে। এটি পৃথিবীর খুব কাছাকাছি চলে যাবে। এই সময়ে, যদি পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ গ্রহাণুটিকে তার দিকে টেনে নেয়, তবে পৃথিবীতে ধ্বংস হবে। তবে নাসা বলছে, এর সম্ভাবনা খুবই কম।
১১ তারিখে পৃথিবীর কাছাকাছি চলে যাবে গ্রহাণু
নাসা এই গ্রহাণুর নাম দিয়েছে 4460 Nerus। বলা হয় এটি আইফেল টাওয়ারের চেয়েও বড়। একই সময়ে, এটি প্রতি সেকেন্ডে চার মাইল বেগে পৃথিবীর দিকে এগিয়ে চলেছে। নাসা একে বিপজ্জনক ক্যাটাগরিতে রেখেছে। তবে এই গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বের ১০ গুণেরও বেশি অতিক্রম করবে। যদিও নাসা একে হুমকি বলেছে। গ্রহাণুটি যে গতিতে পৃথিবীর দিকে অগ্রসর হচ্ছে, সে অনুযায়ী আগামী সপ্তাহ নাগাদ কক্ষপথের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে।
উল্লেখ্য পরের সপ্তাহে পৃথিবীর কক্ষপথে আসা এই গ্রহাণুটি ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২ সালে জ্যোতির্বিজ্ঞানী এলেনর এফ হেলিন আবিষ্কার করেছিলেন। এরপর থেকে নাসা এবং জাপানি স্পেস এজেন্সি JAXA এর ওপর নজর রাখছে। এখন তা যখন আগামী সপ্তাহে পৃথিবীর কাছাকাছি চলে যাচ্ছে, তখন সবার মনে ভয় দেখা যাচ্ছে। ভয়ের কারণ হল ইতিহাসের ঘটনা যখন একটি গ্রহাণুর কারণে পৃথিবী থেকে ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা তাদের সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছেন যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে। এ কারণে এই গ্রহাণুর দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment